Left Front Candidate List : প্রথম দফায় রাজ্যের ৩ আসনে নির্বাচন, প্রার্থী নিয়ে বড় ঘোষণা সেলিমের
এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ৭ দফায় ভোট হতে চলেছে রাজ্যে। প্রথম দফায় ভোট হবে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। এবার এই প্রথম দফার নির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে বড় ঘোষণা সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের।প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় ১৬ জনের নাম ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। সেই তালিকায় কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের প্রার্থীর নামও ঘোষণা করা হয়েছে। কোচবিহার কেন্দ্রে নীতীশচন্দ্র রায়কে প্রার্থী করেছে বামেরা। আর জলপাইগুড়িতে টিকিট দেওয়া হয়েছে দেবরাজ বর্মনকে। প্রথম দফায় তৃতীয় যে কেন্দ্রটিতে ভোট হবে সেটির প্রার্থীর নামও জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানালেন মহম্মদ সেলিম।
রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে মহম্মদ সেলিম বলেন, '৭ দফায় নির্বাচন হচ্ছে। ৭ দফায় হবে বা কবে থেকে হবে তা জানার আগেই আমরা আমাদের প্রথম তালিকা দিয়ে দিয়েছি। প্রথম দফায় ৩টি আসনে ভোট হবে। তার মধ্যে ২টি কেন্দ্রে তো আমরা প্রার্থী দিয়েই দিয়েছি। ৩টি আসনের প্রার্থী বামফ্রন্ট দিয়ে দেবে, আজকে বামফ্রন্টের বৈঠক হয়েছে। প্রথম দফার সবক'টির তালিকায় বেরিয়ে যাবে। ২টির বেরিয়ে গিয়েছে। আর একটাও বেরিয়ে যাবে, কোনও অসুবিধা নেই।'সেলিম আরও বলেন, 'পরপর আলোচনা চলছে, আমাদের সহযোগীদের সঙ্গে, যারা আসতে পারে, যারা আসবে বলেছে। আমরা কথাবার্তা বলছি, ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। যেমন যেমন ঐক্য হবে, যেমন যেমন তালিকা হবে, দিয়ে দেওয়া হবে।'
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বামফ্রন্ট। সেখানে মোট ১৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় সুজন চক্রবর্তী ও বিপ্লব ভট্ট ছাড়া বাকি ১৪ আসনেই নতুন মুখকে সুযোগ দিতে দেখা গিয়েছে বামেদের। একইসঙ্গে সেই তালিকায় তরুণ ব্রিগেডের ওপরেও ভরসা রাখতে দেখা যায় বামেদের। প্রার্থী করা হয়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্য, দীপ্সিতা ধরের মতো তরুণ তুর্কিদের।
একইসঙ্গে সেই দিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে আইএসএফ-এর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কোনওরকম জোট নয়, আসন সমঝোতা বা আসন বোঝাপড়া হয়। তবে আইএসএফ-এর সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কতগুলি আসন সমঝোতা হয়েছে, কিংবা আদৌ হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি বিমান। যদিও আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি অবশ্য বারেবারেই ডায়মন্ডহারবার থেকে লড়াইয়ের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত উভয় দলের আসন সমঝোতা হয় কি না।