• ক্যা নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ কেরল সরকার
    আজকাল | ১৮ মার্চ ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, নয়া দিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেরলের বাম সরকার। আগামী ১৯ মার্চ নাগরিকত্ব সংশোধন আইন সম্পর্কিত সমস্ত আইন একত্রিত করে শুনবে শীর্ষ আদালত। গত ১১মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ক্যা কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকার।ক্যা কার্যকর করার মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর অথবা তার আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, শিখ সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১৪ মার্চ কেরল সরকারের তরফে জানানো হয়, অবিলম্বেই ক্যা এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হবে। একটি বিবৃতি জারি করে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, "সংবিধানের ১৩১ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আসল মূল মামলা দায়ের করেছে। যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কার্যকর করেছে, সেই কারণে শীর্ষ আদালতের মাধ্যমে রাজ্য সরকার এর বিরুদ্ধে আরও আইনি পদক্ষেপ চায়। রাজ্য সরকারের স্পষ্ট অবস্থান, এই রাজ্যে নাগরকিত্ব আইন কার্যকর হতে দেওয়া হবে না।" কেরলের আইন মন্ত্রী পি রাজীব বলেছেন, "নাগরিকত্ব সংশোধন আইন সংবিধানের মৌলিক এবং প্রাথমিক নীতির বিরুদ্ধে এবং আমাদের আবেদন এই আইনকে অসাংবিধানিক এবং সংবিধানের বিপরীত বলে ঘোষণা করা হোক। আগে দায়ের করা মূল মামলায় এই আবেদন করা হয়েছিল। আমরা ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। শীর্ষ আদালতে আমাদের প্রবীণ আইনজীবীর সঙ্গে আমাদের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে আলোচনা করতে বলেছি।"২০২০ সালে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিল কেরলের বাম সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে আবেদনে জানানো হয়, সংবিধানে উল্লেখিত সাম্যতার অধিকারের পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ু, বাংলার মত বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি জানিয়েছে সেখানেও নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কার্যকর হতে দেওয়া হবে না। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও বক্তব্য থাকবে না। কেন্দ্রীয় সরকার নিজের অধিকার বলেই এই আইন কার্যকর করেছে বলে মত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।
  • Link to this news (আজকাল)