• হুগলি লোকসভা কেন্দ্র পুনরুদ্ধার হবেই: রচনা
    আজকাল | ১৮ মার্চ ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি: হুগলি লোকসভা কেন্দ্র পুনরুদ্ধার হবে। সে বিষয়ে একশ শতাংশ নিশ্চিত তিনি। রবিবাসরীয় প্রচারে পান্ডুয়া পৌঁছে এই মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। এদিন তিনি বলেন, "দারুন সাড়া পাচ্ছি। আমি রীতিমতো অভিভূত। ভাবতে পারিনি হুগলির মানুষ আমাকে এমন ভাবে সমর্থন করবেন। একসঙ্গে পাশে এসে দাঁড়াবে। যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই মানুষের ভালোবাসা আশীর্বাদ পাচ্ছি। আশা রাখি আগামীদিনে যেন তাঁদের সকলের পাশে থাকতে পারি। এখন সেটাই আমার মূল লক্ষ। বিশ্বাস রাখুন আমি সকলের পাশে থাকব।" প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জি প্রসঙ্গে রচনা বলেন, "সে তার কাজ করুন, আমি আমার কাজ করবো। হুগলি লোকসভা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে একশ শতাংশ নিশ্চিত রচনা বলেছেন "হুগলির মানুষের উপর ভরসা আছে। প্রার্থী যেই হোক, মানুষের দিদির উপর ভরসা আছে। তাই আমরা জিতবো। লকেটের সঙ্গে দেখা হলে ওনাকেও নমস্কার করব। এখন সবাইকেই নমস্কার করছি।" ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার না দেওয়া প্রসঙ্গে রচনা বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ বকেয়া টাকা দেয়নি, দিদি দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার দেব দেব করেও দিয়ে উঠতে পারেনি। সবই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করছেন। তিনি প্রতিনিয়ত আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছেন, তাই দিদির পাশে থাকতে হবে। এখন আর মানুষকে বোকা বানানো সহজ নয়।" এদিন হুগলির বাঁশবেড়িয়া এলাকায় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের পোস্টার পড়েছে। এই প্রসঙ্গে রচনা বলেছেন, "বিরোধী দল নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। আমি আমার দলের জন্য এসেছি। আমার দলকে যে জেতাব। বিরোধী প্রার্থী কী করছে। কাকে গালিগালাজ করছে, তা দেখার সময় আমার নেই।" রাজনীতিতে নতুন আসা প্রসঙ্গে রচনা বলেছেন, "লকেট চ্যাটার্জিও একদিন রাজনীতিতে নতুন ছিলেন। তাঁকেও প্রার্থী করে বিজয়ী করা হয়েছে। আমি নতুন নই। আমি বহু মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এখানে এসেছি। আজ হয়তো আমি রাজনীতিতে এসেছি। আমার বিশ্বাস সেই ভালোবাসার রেশ নিয়ে সকলের মন জয় করতে পারবো। হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যারা রয়েছেন তারা সবসময় আমার পাশে রয়েছে। কোনও ভাবেই আর হুগলির মাটি একদম ছাড়ছি না।"লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে শনিবার দুপুরে। তার পরের দিন আজ রবিবার, সকাল থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী। রবিবার সকালে পান্ডুয়া ব্লকের সিমলাগড় কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে তিনি প্রচারের কাজ শুরু করেন। দুপুর বারোটা নাগাদ পৌঁছন সিমলাগড় কালি মন্দিরে। সেখানে ছিলেন পান্ডুয়ার বিধায়ক তথা প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগ, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র সহ জেলা নেতৃত্ব। সেখানে পুজো দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন। সেল্ফি তুলে উপস্থিত অনেকের আবদার পূরণ করেন দিদি নম্বর ওয়ান খ্যাত রচনা। সেখান থেকে হুডখোলা গাড়িতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আর্ত্তি গ্রামে সাধারণ মহিলা ও মানুষজনের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের।ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)