'তৃণমূলের দালালগুলোকে হুগলি থেকে হঠাও', লকেটের পর বাঁশবেড়িয়ার বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার
২৪ ঘন্টা | ১৮ মার্চ ২০২৪
বিধান সরকার: হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে ফের লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কিন্তু তাঁকে চাই না বলে পোস্টার পড়েছে কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায়। এবার বাঁশবেড়িয়ায় এলাকার বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। সেখানে তাদের উল্লেখ করা হল তৃণমূলের দালাল বলে।
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধোপাঘাট এলাকা-সহ বাঁশবেড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার দেখা গিয়েছে। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ এবং রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহর ছবি দিয়ে তৃণমূলের দালাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই পোস্টারে। যদিও এই পোস্টার কে বা কারা মেরেছে তার কোন উল্লেখ নেই। ওই তিন নেতার ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে তৃণমূলের দালালগুলোকে হুগলি থেকে দূর হঠাও।প্রসঙ্গত, লকেট চট্টোপাধ্যায় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই হুগলির বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা গিয়েছে। চন্দননগর, ধনিয়াখালি,পান্ডুয়ায় লকেটকে চাই না বলে পোস্টার পড়ে। বিজেপি ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল তৃণমূল এসব করছে। বিজেপি সংঘবদ্ধ আছে। ভোটের সময় তাদের কর্মীদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে তৃণমূল।যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ ছিল লকেটকে ৫ বছর দেখা যায়নি এলাকায়। উল্লেখযোগ্য কোনো কাজও তিনি করেননি। দলের কর্মিরাই প্রার্থীকে চাইছে না। তাই ক্ষোভ বেরিয়ে পড়ছে। বাস্তবেও দেখা যাচ্ছে লকেটের প্রচারে পুরোনো বেশ কিছু নেতাকর্মী অনুপস্থিত যারা দলের সব কর্মসূচিতে একসময় থাকতেন।বাঁশবেড়িয়ার পোস্টার তৃণমূলই মেরেছে বলে অভিযোগ করেও ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে নারাজ বিজেপি নেতারা। দলের উপরতলা থেকে নাকি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এধরনের বিতর্কিত বিষয়ে মুখ না খুলতে। হুগলিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে তৃণমূল। তার মধ্যে দলের কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ ছাইচাপা আগুনের মত জ্বলছে।উল্লেখ্য়, দিন চারেক আগে লকেটের হাত থেকে বিজেপিকে বাঁচান বলে পোস্টার পড়ে হুগলির চন্দননগরে। গত বুধবার ওই ধরনের পোস্টার চোখে পড়ে লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার, তালডাঙ্গা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। পোস্চারের লেখা, 'মোদীজি আণাদের বাঁচান লকেট চ্যাটার্জির হাত থেকে। আমরা মণ্ডল সভাপতির দায়িত্বে কাজ করছি । এর আগেও বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করেছি ৷ এমনকি নিজের বিধানসভায় ২০২১ এ কাজ করেও সময় বার করে চুঁচুড়ায় গিয়ে লকেট চ্যাটার্জির হয়ে প্রচার করেছি । গত ৫ বছর উনি নিজে আমাদের মণ্ডলে প্রায় আসেনইনি ৷ তাতে আমাদের কী দোষ ? এখন উনি মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন, ভোটের পর দেখে নেব বলছেন । আমরা জেলার একাধিক নেতৃত্বদের এবং রাজ্য থেকে এই জেলায় দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বদের জানিয়েছি । কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না । ক্ষমা করবেন বাধ্য হয়ে খোলা চিঠি লিখলাম আমরা মণ্ডল সভাপতিরা এবং তা প্রকাশ করলাম ।'