• Vending Machine : বাইবাই অজুহাত, টাকা দিলেই হাতে ক্লথ-ব্যাগ
    এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: প্লাস্টিকের ব্যাগে সব্জি নিয়ে বাজার থেকে বাড়ি ফেরেন? কিন্তু প্লাস্টিক ব্যাগই কেন? অজুহাত একটাই, ‘ব্যাগ আনতে ভুলেছি।’ সেটা বোধহয় শেষ হতে চলেছে। ব্যাগ ভুললেও অসুবিধা নেই। মেশিনে টাকা দিলেই হাতে আসবে কাপড়ের ব্যাগ। তাতে অবশ্য পকেটে চাপ পড়বে না। ১০ টাকা দিলেই মিলবে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ। সল্টলেকের সিএ মার্কেটে কাপড়ের ব্যাগের এই ভেন্ডিং মেশিন বসিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবেই বসানো হয়েছে এই যন্ত্র। তবে পরিকল্পনা রয়েছে শহর জুড়েই বসানো হবে এই যন্ত্র। যন্ত্র বসানোর সুফলও মিলেছে হাতেনাতে। অনেকেই সেই ব্যাগ কিনে বাজার করে বাড়ি ফিরছেন। পর্ষদ কর্তাদের আশা, প্লাস্টিকের ব্যাগ বন্ধে এই প্রকল্প বড় হাতিয়ার হবে। নিষেধাজ্ঞা, প্রচার, আচমকা হানা—এত কিছুর পরেও প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না।

    অনেকেই বলছেন, প্লাস্টিক ব্যাগে বাজার করা এখন অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে। তার ফলে বেশিরভাগ মানুষই এখন আর ব্যাগ হাতে বাজারে যান না। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিক ব্যাগ না দিলে অনেক ক্রেতা ফিরে যান। বাধ্য হয়েই তাই প্লাস্টিক ব্যাগ দিতে হয়। ক্রেতারা জানাচ্ছেন, অভ্যাস নেই, তাই ব্যাগ আনতে ভুলছেন। দু’পক্ষের সমস্যা মেটাতেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই ক্লথ ব্যাগ ভেন্ডিং মেশিন বসানোর পরিকল্পনা।

    পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, ‘আমরা শহরের সব বাজার এবং শপিং মলে এই ভেন্ডিং মেশিন বসানোর পরিকল্পনা করেছি। সেই কাজ শুরুও হয়ে যেত। তবে ভোট ঘোষণা হওয়ায় পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে এই উদ্যোগ জারি থাকবে। ভোট শেষ হলেই আমরা যন্ত্র বসানোর কাজ শুরু করব।’ সিএ মার্কেটে যে যন্ত্র বসেছে, তাতে খুবই উৎসাহিত কল্যাণবাবু। তিনি বলেন, ‘অনেকে জানেনই না। তার পরেও মাত্র দু’দিনে ১০০টি ব্যাগ ফুরিয়ে গিয়েছে। আমাদের ফের নতুন করে ব্যাগ রিফিল করতে হয়েছে।’

    এই ভেন্ডিং যন্ত্র খুবই অল্প জায়গায় দেওয়ালে বসানো যায়। একটি যন্ত্রে মাঝারি মাপের ১০০টি কাপড়ের ব্যাগ রাখা যায়। টিকিট ভেন্ডিং মেশিনের মতোই নির্দিষ্ট জায়গায় ১০ টাকার নোট বা কয়েন দিলেই যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসে একটি ব্যাগ। পর্ষদ আপাতত একটি কাপড়ের ব্যাগের দাম রেখেছে ১০ টাকা। কল্যাণবাবু জানান, একটি ব্যাগপিছু তাঁদের ২০ টাকা দাম পড়ে। তবে আপাতত ১০ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতারা অবশ্য বলছেন, দাম ২০ টাকা হলেও ক্ষতি নেই। কারণ ব্যাগের মান ভালো। দীর্ঘদিন তা ব্যবহারও করা যাবে।
  • Link to this news (এই সময়)