গার্ডেনরিচে ঘটনাস্থলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নিজে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কিছু বাড়ি তৈরি করে প্রোমোটাররা নিশ্চয় ভাববেন, আশেপাশে যে গরীব মানুষগুলো আছে, যেন ক্ষতি না হয়। বাড়ি যাতে মজবুত হয়, সেটা নজর রাখা উচিত।’গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহত এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানালেন তিনিও। ইতিমধ্যেই ওই নির্মীয়মান বাড়ির প্রোমোটারকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি জানান, বিল্ডিংয়ের নীচে যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের নতুন করে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই নির্মাণ কী ভাবে হচ্ছিল, কোনও আইনি বৈধতা হয়েছিল কিনা, সে ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখা হবে বলেও যা জানিয়ে দেন তিনি। ওই বাড়ি বেআইনি ছিল বলেই জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, অপরিসর জায়গায় উদ্ধার কার্যে একটু অসুবিধা হচ্ছে। সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেন। ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ ক্ষতিপূরণের ঘোষণা
বিষয়টি নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি নির্মীয়মান ভবনের বাড়ি ধসের বিপর্যয়ের কথা জেনে আমি দুঃখিত। আমাদের মেয়র, দমকল মন্ত্রী, সচিব এবং পুলিশ কমিশনার, নাগরিক, পুলিশ, অগ্নি ও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আধিকারিক এবং দলগুলি (এনডিআরএফ, কেএমসি এবং পুলিশ) উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে।
এরপরেই তিনি জানান, আমরা নিহতদের নিকটাত্মীয় এবং আহত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করব। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছি এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। গার্ডেনরিচে পাঁচ তলা নির্মীয়মান বাড়ি ভেঙে পড়ার পর উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশের যে ঝুপড়িতে এই বাড়িটি ভেঙে পড়ে, সেখানে টালির চালের বাড়িতে মোট ২১ জন ছিলেন। এদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১৩ জনকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকি উদ্ধার কার্য এখনও চালানো হচ্ছে।
এমনকি, গার্ডেনরিচের ওই বহুতলটির নির্মাণ বেআইনি ছিল বলেও জানিয়েছেন মেয়র। সেই কারণে, নির্মীয়মান বাড়ির প্রোমোটারকে গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ভেঙে পড়া বাড়ির ভেতরে আরও কেউ আটকে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাঁদের ধীরে ধরে বের করার কাজ চলছে। ধীরে ধীরে কংক্রিটের চাঙ্গর সরানোর কাজ চলছে।