Vladimir Putin : ফির একবার পুতিন সরকার! মস্কোর মসনদে বসেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি রুশ প্রেসিডেন্টের
এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
মিলে গেল সমস্ত অনুমান। একাধিক বিরোধিতা এবং তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও মস্কোর মসনদে সেই পুতিনই। সব কিছুকে টপকে রাশিয়ায় ফির একবার পুতিন সরকার। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের একবার জয়ী হলেন ভ্লাদিমির পুতিন। রবিবার রাশিয়ার নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়। যেখানে দেখা যায় ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি।মস্কোর মসনদে পুতিনরাশিয়ান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভ্লাদিমির পুতিন ৮৭.৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের একবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। পুতিনের বিরোধীরা কার্যত তাঁর সামনে ধোপে টিকতে পারেনি। তবে কবে তিনি ফের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে ল্যান্ডস্লাইনড এই জয়ের পর নয়া রেকর্ড যুক্ত হল পুতিনের নামের পাশে। জোসেফ স্টালিনের রেকর্ড ভেঙে তিনিই এবার রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করেছে। দেশের বাক স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। রবিবার ভোটিং বুথের বাইরে বিপুল সংখ্যক জনগণ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের বিরুদ্ধে তিনজন প্রার্থীকে দাঁড় করানো হয়েছিল। তবে তাঁদের 'ডামি' প্রার্থী হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাঁরা কেউ-ই পুতিনের বিরুদ্ধে মুখে রা কাড়েননি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা বা সমালোচনা করেনি। তবে ভোটারদের একাংশের অভিযোগ, তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের কোনও বিকল্পকে বেছে নেওয়ার সুযোগই দেওয়া হয়নি। রাশিয়ার নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক অশান্তির খবর আসে। একাধিক বুথ ভাঙচুর করার ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে আসে। মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে কমপক্ষে ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। এদিকে, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বুথের ভিতর।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রবিবার রাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয় সেখানে। রাশিয়া ছাড়াও ইউক্রেনের দখল করে নেওয়া অঞ্চল এবং অনলাইনেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রাশিয়ার দূতাবাসগুলিতে ভোটগ্রহণ চলে।
রুশ প্রেসিডেন্টের হুংকারপ্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেই হুংকার দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। বিপুল ভোটে জয়ের পর তিনি জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পুতিনের কথায়, 'রাশিয়া এবং NATO-র মধ্যে সংঘর্ষের পরিণাম হতে চলেছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সেদিন আর বেশি দূরে নেই। আপনাদের অনুমানের থেকেও কম সময়ের মধ্যে তা বাস্তব হতে চলেছে।'