Esplanade Bus Terminus: ভূগর্ভস্থ পার্কিং, ফেরি এবং মেট্রোর যোগ নিশ্চিত করার নির্দেশ কোর্টের
এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
এই সময়: ধর্মতলার চেনা বাস টার্মিনাস উধাও হয়ে তা যদি মাটির নীচে ঠাঁই নেয়! রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের পরিকল্পনা তেমনই। তা হলে সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের সুবিধার্থে সেখান থেকে গঙ্গায় ফেরি সার্ভিস এবং মেট্রো রেলের স্টেশনগুলির সঙ্গে যেন তার নিবিড় যোগাযোগ থাকে—কলকাতার বায়ুদূষণ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই অন্তর্বর্তী নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের।এই সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘রাইটস’-কে দিয়ে করানোর কথা বলেছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শম্পা সরকার। ভিক্টোরিয়াকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে খোলা আকাশের নীচে কয়লা বা কাঠ পুড়িয়ে রান্নাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কোর্ট। কলকাতা পুরসভাকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে তার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দূষণের জন্য ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল-সহ অন্যান্য ঐতিহাসিক সৌধের ক্ষতি হচ্ছে বলে ২০০৭ সালে হাইকোর্টে মামলা করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। আদালত নির্দেশ দেয়, ছ’মাসের মধ্যে বাস টার্মিনাসকে ওই চত্বর থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। সুপ্রিম কোর্টও এই নির্দেশ বহাল রাখে, কিন্তু কোনও সময় বেঁধে দেয়নি। সেই নির্দেশের পরে বহু বছর পার হয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছু না হওয়ায় ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুভাষ। এর আগের শুনানিগুলিতে রাজ্য নিশ্চিত করেছে, বাস স্ট্যান্ড ধর্মতলা চত্বর থেকে সরানো হবে। ভূগর্ভস্থ মাল্টি লেভেল বাস টার্মিনাস করতে চায় তারা। তার একটি নীল নকশাও কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল।
এই মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনকে বলে, সে ক্ষেত্রে ওই টার্মিনাসের সঙ্গে গঙ্গার ফেরি ঘাট এবং এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের যোগাযোগ যাতে থাকে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যাত্রীরা সহজেই বাস টার্মিনাস থেকে ওই এলাকায় যাতে যেতে পারেন এবং সেখান থেকে আসতে পারেন, সে দিকে নজর দিতে হবে। এই সমীক্ষার কাজ এবং প্রস্তাবিত নকশা রাইটস-কে দিয়ে করাতে হবে। তার জন্য পরিবহণ দপ্তরকে চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে দূষণ থেকে ভিক্টোরিয়াকে বাঁচাতে এই সৌধের তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে কাঠ-কয়লা বা কেরোসিন (জীবাশ্ম জ্বালানি) জ্বালিয়ে রান্নায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু, সে নির্দেশও পালন করা হয়নি। এর আগের শুনানিতে কলকাতা পুরসভা জানিয়েছিল তারা এর একটা প্রাথমিক সমীক্ষা করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে যে, বেশিরভাগ হোটেল বা খাবারের দোকান কাঠ-কয়লা এবং কেরোসিন ব্যবহার করে। বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট কোর্টে জমা দিতে হবে।
তাতে উল্লেখ করতে হবে, কারা কারা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে। হাইকোর্টের আইনজীবীদের গাড়ির পার্কিংয়ের জন্য মিলেনিয়াম পার্ক সংলগ্ন একটি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ওই জায়গাটি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের। হাইকোর্ট বলেছে পোর্ট ট্রাস্টের কাছে জমি নেওয়ার আবেদন করা হলে, দামের বিষয়টি তারা যেন বিবেচনা করে।