'তোলাবাজি নয়, বন্ড থেকে সামান্য অংশ পেয়েছে দল', মন্তব্য তৃণমূল নেতার
এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে নির্বাচনী বন্ড। কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী বন্ড ভাঙিয়ে কত টাকা ঘরে তুলেছে, তা নিয়ে চর্চা চলছে। সম্পূর্ণ তথ্য এখনও জমা করেনি SBI। তবে এখনও পর্যন্ত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে কমিশনে জমা করা তথ্য অনুযায়ী প্রকাশ্যে এসেছে রাজনৈতিক দলগুলির ভাঁড়ারে কত টাকা ঢুকেছে।
কী রয়েছে কমিশনের প্রকাশিত নয়া তথ্যে?রবিবার নতুন করে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত বাকি তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগের প্রকাশিত তথ্য ছিল ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে। আর রবিবার প্রকাশিত তথ্য ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত নতুন তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা পরিচয় গোপন রেখে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে মোট ১৬ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছিল। এর প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৮ হাজার ২৫০ কোটি টাকা চাঁদা BJP একাই পেয়েছিল। কার কাছ থেকে বিজেপি এই কোটি কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছিল, তা অবশ্য স্টেট ব্যাঙ্কের তথ্যে ছিল না।তৃণমূলের হিসেবSBI-এর জমা করা হিসেব অনুযায়ী, বন্ডের মাধ্যমে সব মিলিয়ে তৃণমূল প্রায় ১ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছে। তবে এই অনুদান কে বা কারা পাঠিয়েছে তা অজানা বলেই উল্লেখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৩০ মে JDU-র পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘১৩ এপ্রিল, ২০১৯-এ, কেউ পাটনায় আমাদের অফিসে এসে একটি সিল করা খাম দিয়েছিল। যখন এটি খোলা হয়, আমরা ১০ টাকা মূল্যের নির্বাচনী বন্ড পেয়েছি। প্রতিটি ১ কোটির। এমন পরিস্থিতিতে আমরা দাতাদের সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য দিতে অক্ষম।’
তৃণমূল নেতার বক্তব্যনির্বাচনী বন্ডের হিসেব প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এই সময় ডিজিটালকে বলেন, 'এর আগেও আমাদের দল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাঁদা বা অনুদান গ্রহণ করেছে এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, সেই তথ্য জানিয়েছে। পার্টি চালানোর জন্য যেভাবে অনুদান গ্রহণ করা হয় ঠিক তেমনটাই। বন্ড থেকে একটা সামান্য অংশ পেয়েছে তৃণমূল। আমাদের কাছে কোনওরকম তোলাবাজির রাস্তা ছিল না।' জয়প্রকাশ মজুমদার আরও বলেন, 'বন্ড চালু হওয়ার প্রথম পাঁচদিনেই বিজেপি ২৫০ কোটি টাকা ভাঙিয়েছে। তখন কেউ জানতই না এটা খায় না গায়ে মাখে। SBI-কে দোসর করে নির্বাচন কমিশনকে অন্ধকারে রেখে গেরুয়া শিবির এমনটা করেছে। এ পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় অর্ধেক সুচতুরভাবে নিজেদের কালেকশন করে গিয়েছে। অতি ভয়ানক তোলাবাজি পদ্ধতি নিয়েছিল ওরা। সুপ্রিম কোর্ট না বললে এটা বন্ধ হত না বা প্রকাশ্যে আসত না।'