লোকসভা নির্বাচনে BJP-কে উৎখাত করার ডাক দিয়ে ইন্ডিয়া জোটের মেগা ব়্যালিতে এককাট্টা বিরোধী শিবির। তেজস্বী যাদব, উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ারের মতো নেতারা থাকলেও মঞ্চে দেখা মিলল না সীতারাম ইয়েচুরি কিংবা ডি রাজার। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার অন্তিম দিনে মুম্বইতে INDIA জোটের অধিকাংশ শরিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে জোটের সেই চিত্রে মিসিং CPIM এবং CPI। তবে কি ওয়েনাড থেকে রাহুল গান্ধী ফের একবার প্রার্থী হওয়ায় চিড় ধরল দুই দলের সম্পর্কে? রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে।রাহুল প্রার্থী হওয়ায় গোঁসা?ওয়েনাড এবং আলাপ্পুজা থেকে রাহুল গান্ধী এবং কেসি বেণপুগোপালের প্রার্থী হওয়া নিয়ে আগেই অসন্তোষ ছিল বাম শিবিরে। এবার মুম্বইয়ে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার মঞ্চে সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজার অনুপস্থিতি রীতিমতো চোখে পড়েছে বিশ্লেষকদের। তবে ঠিক কী কারণে CPI এবং CPIM-এর সাধারণ সম্পাদকেরা ন্যায় যাত্রায় অংশ নিলেন না, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি কেউই। তবে এই অনুপস্থিতির সঙ্গে কেরালার ওয়েনাডে রাহুল গান্ধীর প্রার্থী হওয়ার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
কী প্রতিক্রিয়া ইয়েচুরি-ডি রাজার?কেন তিনি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার অন্তিম অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয় CPIM-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'ত্রিপুরায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে আমার।' একইসঙ্গে CPI-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার উত্তর, অন্য জরুরি কাজ থাকায় তিনি মুম্বইয়ে যেতে পারেননি।
তবে বাম দলগুলি সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধীর ওয়েনাড থেকে লড়াই মোটেই ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি। যদি তিনি দক্ষিণ ভারত থেকেই লড়াই করতে চান তবে অন্য যে কোনও রাজ্যের যে কোনও আসন থেকে প্রার্থী হতে পারতেন। ওয়েনাডই কেন? উল্লেখ্য, এই আসনেই রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডি রাজার স্ত্রী তথা CPI নেত্রী অ্যানি রাজা। তামিলনাড়ু, কর্নাটক কিংবা তেলঙ্গানা থেকে রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপালকে প্রার্থী কেন করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে CPI-এর অন্দরে।
CPI-এর সেন্ট্রাল কমিটির এক সদস্য বলেন, 'ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসেবে আমরা BJP-র বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ছি। আলাপ্পুজা থেকে কেসি বেণুগোপালকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। সেই আসনে বর্তমানে CPIM-এর সাংসদ রয়েছেন। ২০২৬ সালে কেসি বেণুগোপালের রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে তাঁর ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনটি BJP পেয়ে যাবে। দুই বড় কংগ্রেস নেতাকে বামেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী করায় সমর্থকদের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ফলে ইন্ডিয়া জোটের মেগা ব়্যালিতে এই মুহূর্তে বামেদের যোগদান কেরালার ভোটারদের আরও অস্বস্তিতে ফেলবে।'