অসুস্থতার কারণে সত্যেন্দ্রকে
অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টই। গত বছর মে মাসে জামিন পেয়ে তিহাড়
জেলের বাইরে আসেন আপ নেতা। তার পর থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলেই আদালতে দাবি করা
হয়েছিল সত্যেন্দ্রের আইনজীবীর পক্ষে। একাধিক বার সত্যেন্দ্রের অন্তর্বর্তিকালীন
জামিনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম
ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিনের
আবেদন পুরোপুরি খারিজ করে দেয়। শুনানির শেষে সুপ্রিম কোর্ট সত্যেন্দ্রকে
আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
২০২২ সালের মে মাসে টাকা
নয়ছয়ের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন
সত্যেন্দ্র। অভিযোগ, বেআইনি টাকায়
জমি কিনেছিলেন তিনি। সত্যেন্দ্র সেই অভিযোগ মানেননি। জেলে যাওয়ার পর থেকে বার বার
সত্যেন্দ্র দাবি করেছেন, তিনি অসুস্থ। তার পর দেখা যায়,
জেলের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সত্যেন্দ্র। জ্ঞান হারিয়ে তিহাড় জেলের শৌচালয়ে পড়ে যান দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্য এবং কারামন্ত্রী।
সেই ঘটনার পর তড়িঘড়ি
সত্যেন্দ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে অসুস্থতার কারণ
দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন সত্যেন্দ্র। আবেদন মঞ্জুরও করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সত্যেন্দ্র অন্তর্বর্তিকালীন জামিন পেলেও মামলা চলছিল। গত জানুয়ারিতে সেই মামলার
শুনানি শেষ হয়। রায়দান স্থগিত ছিল। সোমবার সত্যেন্দ্রের জামিনের মামলায় রায় দিল
শীর্ষ আদালত।