Kolkata Metro : যাত্রী কেড়েছে মেট্রো, আয় বাড়াতে ফেরিতে নতুন প্ল্যান
এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
শ্যামগোপাল রায়
হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ার পরে গত ক'দিনে দেখা গিয়েছে, ট্রেন থেকে নেমে অনেক যাত্রীই উঠে পড়ছেন মেট্রোয়। যাত্রী ক্রমশ কমছে লঞ্চে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, মেট্রো চালু হওয়ার ফলে হাওড়া-চাঁদপাল ঘাট, হাওড়া-মিলেনিয়াম পার্ক রুটে যাত্রী সংখ্যা কমেছে ২৭ শতাংশ। হাওড়া থেকে শিয়ালদহ এবং সল্টলেক পর্যন্ত মেট্রো চালু হয়ে গেলে ফেরির যাত্রী সংখ্যা আরও কমবে বলেই আশঙ্কা করছেন হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা। যার ফলে রোজগার কমারও আশঙ্কা করছেন অনেকে।এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে এই সংস্থা লোকসানে চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফেরি সার্ভিসকে বাঁচিয়ে রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছেন সমবায়ের কর্তারা। বিকল্প হিসাবে বর্তমানে যে রুটগুলিতে ফেরি সার্ভিস রয়েছে, তার বাইরেও কোনও নতুন রুটে ফেরি পরিষেবা চালু করা যায় কি না, ফেরি পরিষেবায় আরও বদল আনার প্রয়োজন রয়েছে কি না, যাত্রীরা কীভাবে ফেরি পরিষেবাকে দেখতে চান—সেসবও খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। এজন্য প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
নিত্যযাত্রীরা অবশ্য বলছেন, মেট্রো চালু হওয়ার আগে থেকেই এই বিষয়গুলি ভাবা উচিত ছিল। সরকারি সূত্রে খবর, পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে সমবায়ের কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, মেট্রো চালু হওয়ার পরে যে রুটগুলিতে যাত্রী সংখ্যা কমেছে, সেই রুটগুলিতে ফেরির সংখ্যা প্রয়োজনে কমানো হবে। সেখানে হাওড়া-বাগবাজার, শোভাবাজার, কুটিঘাট, আহিরীটোলার মতো রুটগুলিতে বাড়ানো হবে ফেরির সংখ্যা। বর্তমানে প্রায় সব রুটেই প্রতিদিন সকাল ৭টা ৪০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করে। অফিস টাইমে ১০ মিনিট অন্তর ফেরি চলাচল করলেও পরবর্তী সময়ে তা চলে ৩০ মিনিট অন্তর।
অথচ, হাওড়া-শোভাবাজার, বাগবাজার রুটে যাত্রীর সংখ্যা থাকে ভালোই। ফলে, এই রুটগুলিতে লঞ্চের সংখ্যা আরও বাড়ালে মেট্রো চালু হওয়ার ফলে যে যাত্রী কমেছে, সেই ধাক্কা অনেকটাই সামাল দেওয়া যাবে বলে মত পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির মাধ্যমে হাওড়া থেকে কলকাতার আর্মেনিয়ান, চাঁদপাল, বাবুঘাট, কুঠিঘাট, বাগবাজার-সহ জলপথে মোট ৮টি রুটে লঞ্চ চলাচল করে। এরমধ্যে ৪০ শতাংশ যাত্রীই হাওড়া থেকে কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করেন। অধিকাংশের গন্তব্য ছিল ডালহৌসি চত্বর এবং ধর্মতলা।
কারণ, যানজট এড়াতে লঞ্চের কিছু বিকল্প ছিল না। মেট্রো আসার পর সেই সুদিন গিয়েছে ফেরির। পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, 'মেট্রো চালু হওয়ার ফলে ফেরি সার্ভিসের যাত্রী সংখ্যা বেশ খানিকটা কমেছে। যার প্রভাব আয়েও পড়বে। সেই সমস্যা মেটাতে আমরা বেশকিছু পরিকল্পনা করছি। আশা রাখি, খুব বেশি সমস্যা হবে না।'