দুপুরেই ডিজি পদ থেকে সরানো হয়েছে রাজীব কুমারকে। আর এবার সেই পদে আনা হল বিবেক সহায়কে। এদিনই রাজ্য় পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরানোর নির্দেশ দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশবন। তারপরেই সরানো হয় রাজীব কুমারকে। একইসঙ্গে তাঁকে নির্বাচনের কোনও কাজে নিযুক্ত রাখা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়ে দেয় কমিশন। এক্ষেত্রে রাজ্যের কাছ থেকে ৩ জন পুলিশ অফিসারের নামও চাওয়া হয় কমিশনের তরফে। আর এবার ডিজি পদে বিবেক সহায়ের নাম ঘোষণা করা হল।
এর আগে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ও কম্যান্ড্যান্ট জেনারেল (হোমগার্ডস)-এর দায়িত্বে ছিলেন ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার বিবেক সহায়৷ সূত্রের খবর, রাজীব কুমারকে পদ থেকে সরানোর অভিজ্ঞতার নিরিখে যে সমস্ত অফিসারদের নাম উঠে আসছিল, তাঁদের মধ্যে অবশ্য বিবেক সহায়ের নাম ছিল না৷ তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর নামেই পড়ে শিলমোহর। নির্বাচন কমিশনের কড়া পদক্ষেপের পর রাজীব কুমারকে ফের একবার তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিব পদেই ফেরত পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার৷প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠিতে জানান হয়, ডিজির পদ থেকে অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে রাজীব কুমারকে। এমনকী নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও দায়িত্বে তাঁকে রাখা যাবে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করে দেয় কমিশন। পাশাপাশি নতুন ডিজিকে নিয়োগের আগে পর্যন্ত ওই দায়িত্ব সামলাবেন রাজীব কুমারের ঠিক নীচের পদে থাকা অফিসার। ডিজি পদে নতুন অফিসারকে নিয়োগের জন্য এদিনই বিকেল ৫টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে তিনটি নাম পাঠাতেও বলে দেয় কমিশন।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসেই রাজীব কুমারকে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে আনা হয়৷ তাঁর পূর্বসূরী মনোজ মালব্যর থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। যদিও তার আগেও সেই তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিব পদেই কর্মরত ছিলেন রাজীব কুমার৷ ডিসেম্বর শেষ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদের দায়িত্বই সামালচ্ছিলেন তিনি। অতীতে কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার পদেও কাজ করতে দেখা গিয়েছে রাজীব কুমারকে। একটা সময় তাঁর বিরুদ্ধে সারদা মামলার তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে। সেই কারণে তাঁকে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হতে হয়। যদি পরে তাঁকে ফের রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদে আনে সরকার। কিন্তু ভোট ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই পদ থেকে তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।