নির্বাচনী লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে বেশকিছুদিন। এরই মাঝে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আর ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে নির্বাচনের ঢাকে পুরোপুরিভাবে কাঠি পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিকদল। প্রথমে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। পরে তৃণমূল, কংগ্রেস বা বামফ্রন্টের মতো বিভিন্ন শিবিরও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে তৃণমূল অবশ্য একেবারেই রাজ্যের ৪২ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে দফায় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেস অবশ্য এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এরইমাঝে এবার বামপ্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে অভিনব প্রচার CPIM-এর।অ্য়ানিমেডেট ক্যারেক্টার দিয়ে তৈরি একটি রিল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে CPI(M) West Bengal-এর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। সেই রিলে সিপিএম-এর প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে ২টি অ্যানিমেটেড ক্যারেক্টারকে। প্রার্থী তালিকার প্রশংসাও ধরা পড়েছে ক্যারেক্টার দু'টির মুখে। একইসঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির সমালোচনাতেও সরব হয়েছ ওই দুই অ্যানিমেটেড ক্যারেক্টার। রিলের শেষে সমস্ত বাম প্রার্থীদের জয়ী করার আবেদনও জানান হয়েছে সিপিএম-এর পক্ষ থেকে।
View this post on InstagramA post shared by CPI(M) West Bengal (@cpimwb)
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বামেরা। সাংবাদিক বৈঠক করে প্রথম দফার তালিকায় ১৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সেখানে নতুন মুখেদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। ১৬টির মধ্যে ১৪টি আসনেই নতুন মুখকে সুযোগ দিয়েছে বামেরা। প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় পুরনো মুখ বলতে শুধুমাত্র সুজন চক্রবর্তী ও বিপ্লব ভট্ট। এছাড়া প্রথম দফার তালিকায় তরুণ তুর্কি প্রার্থীদের ওপরে বিশেষ ভরসা রেখেছে বামেরা। তালিকায় রাখা হয়েছে সৃজন ভট্টাচার্য, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধরের মতো ইয়াং ব্রিগেডকে।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে একটি আসনও পায়নি বামেরা। গত বিধানসভা নির্বাচনেও তাদের প্রাপ্তির ঘর শূন্য। এই পরিস্থিতিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির অভিযোগ তুলে ল়ডাইতে নেমেছে বামেরা। প্রচারে মানুষের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলেও দাবি করছেন বাম প্রার্থীরা। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত ভোটের বাক্সে লালঝান্ডার প্রতি কতোটা আস্থা রাখেন ভোটাররা।