Vladimir Putin : গুপ্তচর থেকে প্রেসিডেন্ট, কোন জাদুবলে টানা ২৫ বছর রাশিয়ার মসনদে পুতিন?
এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
এবার নয় বার বার। হ্যাঁ টানা ছয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত। প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট পদে ফের নির্বাচিত হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। নির্বাচনে কোনওভাবেই ধোপে টিকতে পারেনি বিরোধীরা। যাবতীয় জল্পনা এবং সমালোচনার মুখে ছাই দিয়ে ফের রাশিয়ার গদিতে পুতিন। তবে তাঁর এই যাত্রাপথ মসৃণ ছিল না।ভ্লাদিমির পুতিনের পুরো নাম ভ্লাদিমি রোভিচ পুতিন। তিনি ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মেছিলেন। পুতিনের বাবা সোভিয়েত নৌবাহিনীতে কাজ করতেন। এবং তাঁর মা ছিলেন স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক। বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। ফলে তাঁর শৈশব কাটে অত্যন্ত কঠিন পরিবেশে।
সোভিয়েত নৌবাহিনীতে বাবার কাজ করতেন, তাই পুতিনকে অনেক কম বয়সেই সোভিয়েত রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থায় যোগ দিতে হয়েছিল। সূত্রের খবর, স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকেই সোভিয়েত রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করতে চাইতেন। তবে স্নাতক না হলে গোয়েন্দা সংস্থায় কাজে যোগ দেওয়ার নিয়ম ছিল না। ফলে এরপর তিনি তাঁর পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যান।
লেনিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আইন নিয়ে লেখাপড়া করেন। শোনা যায়, সেই সময় থেকেই তিনি গুপ্তচর হিসেবে কেজিবি মিশনে ছিলেন। বিদেশী শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপকের ওপর নজর রাখতেন তিনি। স্নাতক হওয়ার পর তিনি কেএফবিতে যোগ দেন। পরে সেখানেই টানা ১৫ বছর কাজ করেন পুতিন।
৬ বছর ড্রেসড্রেনে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯০ সালে লেফট্যানেন্ট কর্ণেল পদে অবসর নেন এবং ফিরে আসেন রশিয়ায়। অবসরের পর তিনি লেনিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রক্টর হন। সূত্র অনুযায়ী, গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করার সময় পুতিনের একাধিক গোপন নাম ছিল। এরপর ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি বরিস ইয়েলতসিন দীর্ঘ অসুস্থতার পর পদত্যাগ করেন।
এরপর পুতিনকে সোভিয়েত রাশিয়ার ভারপ্রাতপ্ত প্রেসিডেন্ট করা হয়। অবশেষে ২০০০ সলের ২৬ মার্চ প্রথমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হন। তারপর থেকেই একটানা জয় নিশ্চিত হয় পুতিনের। একটানা পঁচিশ বছর ধরে রাশিয়ায় চলে আসছে পুতিনরাজ। এবারেও অব্যাহত রয়েছে জয়ের ধারা।
রাশিয়ায় চলা তিনদিন ব্যাপী নির্বাচন শেষে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। রবিবারের এই নির্বাচনী ফলাফল সোভিয়ত ইউনিয়ন পরবর্তী রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় জয় বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল।