• Vladimir Putin : কী ভাবে মৃত্যু নাভালনির? প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেই মুখ খুললেন পুতিন
    এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
  • বিরোধীদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোটে জিতে সদ্য আরও একবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের পদে বসতে চলেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। রবিবার নির্বাচনের বিজয়ী ভাষণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ভাষণ চলাকালীন আচমকাই পুতিনের গলায় শোনা গেল পুতিন বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি প্রসঙ্গ। নাভালনির মৃত্যুকে ‘দুঃখজনক ঘটনা’ বলেন পুতিন। তাঁর বক্তব্যের পর থেকেই পুতিনের সমালোচনায় সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহল।ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচক তথা বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে উনিশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় রাশিয়ার একটি আদালত। ২০২৩ সালে তাঁকে পাঠানো হয় আক্রটিক পেনল কলোনিতে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারেই নাভালনির মৃত্যু হয়। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় কারাগারে পায়চারি করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। সঙ্গে সঙ্গেই জ্ঞান হারান তিনি। চিকিতসকদের ডেকে এনেও কোনও লাভ হয়নি। মৃত্যু হয় নাভালনির।

    এরপরই মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। তবে তাতে শেষরক্ষা হয়নি। বিরোধী নেতার আচমকা মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তাল হয় রাশিয়া। অভিযোগ ওঠে, নাভালনির মৃত্যুতে হাত রয়েছে পুতিনের। নাভালনির মৃত্যু নিছক কোনও ঘটনা না, পরিকল্পিত হত্যা, পুতিনের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে উত্তাল হয় রাশিয়া। এমনকী নাভালনির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। পুতিনের বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্যই অ্যালেক্সেই নাভালনির এমন পরিণতি বলে সোচ্চার হন বাইডেন।

    পুতিনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার মূল্য চোকাতে হয়েছে নাভালনিকে। এমনকী তাঁকে সহ্য করতে হয় অনেক নির্যাতনও। প্রশ্ন ওঠে নাভালনির এই মৃত্যু কী আদৌ স্বাভাবিক নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র? এমনকী নাভালনির মৃত্যুর পর তাঁর দেহ তাঁর পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া নিয়েও জেল কর্তৃপক্ষের টালবাহনারও অভিযোগ ওঠে। তবে এর আগেও নাভালনির ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটে।

    ২০১৭ সালে তাঁর ওপর রাসায়নিক হামলা হয়। ২০২০ সালে খাবারে বিষ মিশিয়ে তাঁকে মারার চেষ্টা করা হয়। তবে প্রত্যেকবারই তিনি বেঁচে যান। তবে শেষরক্ষা আর হয় নি। অকালেই মৃত্যু হয় নাভালনির। তবে তঁর মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা হলেও প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখে টু শব্দটিও শোনা যায়নি। ষষ্ঠবারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে অবশেষে মুখ খুললেন তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)