Lok Sabha Election 2024: লোকসভায় কোন ৫ ইস্যুতে শাসক-বিরোধী আকচা-আকচি? জানুন প্রচারের 'কি ফ্যাক্টর'
এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। ৫৪৩ লোকসভা আসনে সাত দফায় ভোট হবে এবারও। নির্বাচন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল থেকে চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ভোট গণনা ৪ জুন। ভোটের দিন ঘোষণার আগে থেকেই প্রচার ময়দানে ঝাঁপিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ লেগেই রয়েছে। শাসক দল বিজেপি বনাম প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ঝাঁঝালো আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ রোজকার রুটিন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোট পকেটে পুরতে বেশ কয়েকটি ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে কেন্দ্র। সেই সব ইস্যুতেই আবার কেন্দ্রে বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়াচ্ছে বিরোধী দলগুলি। প্রশ্ন লোকসভা নির্বাচনে কোন কোন বিষয়গুলি ফোকাসে রয়েছে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেরই।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি রাম মন্দির এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মতো বিষয়গুলিকে পুঁজি করেছে। অন্যদিকে, বিরোধীরা মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বের পাশাপাশি ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার সহ অন্যান্য ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে। এখন দেখার কার ঘরে কত আসন যায়। নজর থাকবে সেদিকেই।
১. রাম মন্দির
লোকসভা ভোটের আগে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদী। ২৪ এর মিশনে রাম মন্দির অন্যতম প্রধান ইস্যু হতে পারে বলে ভেবেছিল ওয়াকিবহাল মহল। হলও ঠিক তাই। বিজেপির প্রায় প্রতি নেতার প্রতি নির্বাচনী প্রচারে এল রামলালার অভিষেকের প্রসঙ্গ। বিরোধীদের অভিযোগ, মন্দির পুরোপুরি তৈরি না হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি মোদীর রাম মন্দির উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর হিন্দুত্বের তাস। বিরোধীদের মতে, লোকসভা ভোটে রামভক্ত ভারতবাসীর আস্থা পেতেই তড়িঘড়ি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জ্ঞানবাপীর তেহখানায় শীর্ষ আদালতের তরফে পুজোর অনুমতি বিজেপির প্রচার পালে হাওয়া।
২. নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন
ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (সিএএ) কার্যকর করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশ জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে বাংলা ও অসম থেকে। বিরোধীদের অভিযোগ, নির্বাচনী সুবিধা আদায় করতেই বিজেপি ঠিক লোকসভার আগেই সিএএ কার্যকর করল। 'সিএএ নিয়ে বিজেপি কথা রেখেছে' এই অস্ত্র সম্বল করেই ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই আইনে। ভোটে সিএএ-এর প্রভাব নির্ভর করবে 'হিন্দু অনুভূতি' প্রচার করতে বিজেপি এটিকে কতটা ব্যবহার করতে পারে তার উপর। একই সঙ্গে বিরোধীরা এটিকে মেরুকরণের রাজনীতি বলে আক্রমণ শানাচ্ছে।
৩. ইডি-সিবিআই
বিজেপির দাবি, বেশিরভাগ বিরোধী নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ জনই কেন্দ্রয়ী তদন্তকারী সংস্থার র্যাডারে রয়েছেন। বিরোধীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে প্রয়োজন মেটাতে নিজেদের অঙ্গুলি হেলনে ব্যবহার করে আসলে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপির। সাম্প্রতিক সময় একাধিক বিরোধী নেতা-নেত্রীর বাড়িতে ইডি-সিবিআইয়ের তল্লাশি অন্যতম প্রচার অস্ত্র।
গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে লোকসভা ভোটের আগে রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গ্যাসের দাম প্রতি সিলিন্ডারে ১০০ টাকা করে দাম কমানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করছে বিরোধী শিবির। এটি শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচনের জন্য়ই করেছে বিজেপি, লোকসভার পর আবার দাম বাড়বে, গিমিক ছাড়া এ কিছুই নয় বলে কটাক্ষ তাঁদের। তবে বিষয়টিকে ফোকাসে রেখে 'প্রতিশ্রুতিপূরণের' কথা বলছে বিজেপি।
৫. বেকারত্ব
বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার বেকারত্ব। বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বিরোধীরা আক্রমণ শানাচ্ছেন চাকরির সমস্যা নিয়ে। অন্যদিকে, বেকারত্ব নিবারণে মোদী সরকার স্বনির্ভরতার উপর জোর দিয়েছেন, তাতে মানুষের আয়ও বেড়েছে বলে দাবি করেছেন শাসক দলের নেতারা। এই নিয়ে তরজা অব্যাহত।