আজান চলাকালীন হনুমান চালিশা বাজানোর অভিযোগে দোকানদারকে বেধড়ক মারে। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর নগরথপেটে এলাকায়। দোকানদারের অভিযোগ, চাকু নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়েছে একদল যুবক।ঘটনাটি ঠিক কী?সংবাদসংস্থাকে ওই দোকানদার বলেন, 'সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আমি দোকানে হনুমান চালিশা বাজাচ্ছিলাম। হনুমান চালিশার পাশাপাশি আরও নানা ভক্তিমূলক গান চলছিল। আচমকাই আমার দোকানে একদল স্থানীয় যুবক এসে হুমকি দিতে শুরু করে। আমায় রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলে, স্পিকার বাজালে আমায় খুন করে ফেলবে। আমি রাজি না হওয়ায় আমার গলা চেপে ধরে ওরা। আমার উপর চড়াও হয়। মারধর করতে শুরু করে। ধস্তাধস্তির মাঝে চাকু দিয়ে আমায় আঘাত করে।'
দোকানদারের আরও জানান, তিনি হামলাকারীদের মধ্যে দু'তিন জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন। সকলেই স্থানীয় বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে, ইতিমধ্যেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু ব্যক্তিকে এক দোকানদারের উপর চড়াও হতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োর কোনও সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।
কী বক্তব্য পুলিশের?বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি FIR দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হবে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হালাসুরু গেটের পুলিশ। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় মূলত আজানের সময় স্পিকারে জোরে গান বাজানো নিয়ে আপত্তি তোলে একদল মুসলিম যুবক। সেই থেকেই বচসার শুরু।
আসরে নেমেছে BJPএই ঘটনা নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে BJP। দলের নেতা তেজস্বী সূর্য বনধ ডাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সমস্ত অভিযুক্তকে মঙ্গলবারের মধ্যে গ্রেফতার করা সম্ভব না হলে, বনধ ডাকা হবে এলাকায়। এমনটাই জানিয়েছেন তেজস্বী সূর্য। তিনি বলেন, 'আগামীকালের মধ্যে সমস্ত অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবি করছি। আগামী সাড়ে ১২টার মধ্যে তেমনটা না হলে নগরথপেটে বনধ পালিত হবে। আমরা লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ করব। দোকানদারকে ন্যায় দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। এটা আইন শৃঙ্খলার বিষয়। নিরাপত্তার বিষয়। এই মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমি DCP-র সঙ্গে নিজে এই বিষটি নিয়ে কথা বলেছি। ওই দোকানদার কন্নড়ভাষী নন। ফলে আমরা নিজেরা গিয়ে পুলিশ স্টেশনে FIR-এর কপি দেখে আসব।'