• Lok Sabha Vote 2024: নির্বাচনের দিন ভোট দিতে গিয়ে সমস্যা? এক ডায়ালেই ১০০ মিনিটে ব্যবস্থা! জানুন কমিশনের নম্বর
    এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
  • দিন কয়েক আগেই নির্বাচন কমিশনরে তরফে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৯৭ কোটি। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতে এটি ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের বহু আগেই হিংসা রুখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ভোটে সন্ত্রাস রুখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে এবারও। জেনে নিন কোন নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। ১৯৫০ নম্বরে ফোন করলেই ১০০ মিনিটের মধ্য়ে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।কমিশনের সবথেকে বড় চ্য়ালেঞ্জ কোনগুলি?

    পেশিশক্তি, বেআইনি অর্থ, ভুল তথ্য ও আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়াই কমিশনের কাছে বড় চ্য়ালেঞ্জ। ভোটে যাতে কোনও সন্ত্রাসের জায়গা না থাকে তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিতে চাইছে কমিশন। ভোটের আগে কিংবা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে বার্তা দিয়েছে কমিশন।

    সন্ত্রাস মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম

    সন্ত্রাস রুখতে প্রতি জেলায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম থাকবে। কোনওরকম অভিযোগ পেলেই কড় পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছে কমিখশন। কারও বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা থাকলে কমিশন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ডিএম-এসপিদের সন্ত্রাস মুক্ত ভোট করাতে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে কমিশনের তরফে মন্তব্য করা হয়েছে। ভোটের কাজে অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করা যাবে না বলে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে।

    এবার কয় দফায় ভোট?

    এবার সাত দফায় লোকসভা ভোট হচ্ছে। ভোট শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। বাংলাতে ভোট হবে সাত দফায়। এছাড়াও উত্তর প্রদেশ ও বিহারে সাত দফায় ভোট হবে। কমিশনের তরফে স্পষ্ট বার্তা নির্বাচনে হিংসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর নির্ঘণ্ট প্রকাশ! জানুন একনজরে

    আগে কী নির্দেশিকা জারি হয় কমিশনের তরফে?

    লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা। নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ও তারকা প্রচারকদের মন্তব্যের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে নির্দেশিকা জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রেস বিবৃতিতে সব রাজনৈতিক দলগুলিকে আগেই কমিশনের তরফে প্রচারে শালীনতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কড়া ব্যবস্থা নেবে। কমিশনের প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভোট চাওয়া যাবে না ধর্ম কিংবা জাতির নামে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্য়ে বিদ্বেষ বা উত্তেজনা ছড়ায় এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না। বিরোধিতার নামে ভোটারদের মন পেতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ব্যক্তি আক্রমণ ও মহিলাদের সম্মান রক্ষার্থেও কমিশনের তরফে কড়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ধর্মীয় স্থানে ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ও সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারে।
  • Link to this news (এই সময়)