Election Commission Of India : ভোট ঘোষণার পর কমিশনের অ্যাকশন! সরানো হল BJP শাসিত একাধিক রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবদের
এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
ভোট ঘোষণার পরই বড়সড় অ্যাকশনে নির্বাচন কমিশন। লোকসভার মুখে উত্তর প্রদেশ, বিহার সহ মোট ছয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যগুলিতে স্বতন্ত্র, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর লক্ষ্যে এই কড়া পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।কমিশনের কড়া পদক্ষেপযে ছয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবদের সরিয়ে দেওয়া হল সেগুলি হল, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড।
ECI : কমিশনের নোটিশ
এ ছাড়াও মিজোরাম এবং হিমাচল প্রদেশের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টের সচিবদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের DGP রাজীব কুমারকেও সরাল কমিশন। জানা যাচ্ছে, বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল এবং অতিরিক্ত কমিশনাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।
গত ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার ঠিক দু'দিনের মাথায় বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। ইতিমধ্যেই মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট লাগু হয়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। ঘটনাচক্রে যে ছ'টি রাজ্যে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল তার মধ্যে চারটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে BJP। গুজরাট, উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে BJP সরকার। বিহারে রয়েছে JDU-BJP জোট। আবার হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। ঝাড়খণ্ডে রয়েছে কংগ্রেস-JJM সরকার।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে অবিলম্বে রাজীব কুমারকে সরাতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও দায়িত্বে তিনি থাকতে পারবেন না। রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি নিয়োগের আগে পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন রাজীবের ঠিক নীচের পদে থাকা অফিসার। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীব কুমারকে তদানীন্তন পদ থেকে সরানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট ঘোষণার পর তাঁকে ডেপুটেশনে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে রাজীব দীর্ঘদিন ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি দফতরের সচিব। কয়েক মাস আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে মনোজ মালব্য মেয়াদ শেষ হয়। তারপর গত ডিসেম্বরে রাজ্য পুলিশের নয়া ডিজি পদে দায়িত্ব নেন রাজীব কুমার। ইতিমধ্যেই নয়া ডিজির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলার নয়া ডিজি হচ্ছেন বিবেক সহায়। সাধারণত ভোটের মুখে কমিশনের নির্দেশে এ ধরনের বদলি হলেও ভোট শেষে পুনরায় আগের পদে অফিসারদের বহাল করে দেয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার।