• ‘শ্বেতপত্র সঙ্গে করে আসবেন’, সুকান্ত’র ডেরা থেকে সরাসরি মোদীকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
    এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনের জন্য জেলায় জেলায় ইতিমধ্যে ভোট প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন তিনি। তাঁর নিশানায় আগা থেকে গোড়া ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ।ভোটের প্রচার শুরুর মুখেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিজেপি সরকারকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। খোলা মঞ্চে বিজেপির যে কোনও স্তরের নেতাদের এসে বিতর্ক সভায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছেন। এদিনের সভাতেও সেই একই সুরে আওয়াজ তোলেন তিনি। সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার ক্ষমতা হচ্ছে না কেন? তৃণমূল টাকা খেয়ে নিচ্ছে, বিজেপির এই তো অভিযোগ। আমার এতটুকু জিজ্ঞাস্য, তিন বছরে কতো টাকা বাংলায় ছেড়েছেন, ১০ পয়সার হিসেব দিন। প্রমাণ করতে পারে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি ছেড়ে দেবে।’

    বিজেপি ১০০ ঘণ্টা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেনি, তাহলে কে ঠিক বলছে, কে ভুল?অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

    শুরুটা হয় তাঁর ভোট প্রচারের প্রথম দিন। আবাস যোজনা এবং একশো দিনের টাকা গত তিনটি আর্থিক বর্ষে বিজেপি সরকার কত টাকা দিয়েছে, তার শ্বেতপত্র প্রকাশের কথা জানান।

    Abhishek Banerjee Maynaguri Meeting : 'আজ খুঁটি পুজো, বিসর্জন মে-র শেষে' হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

    যদিও, সময় ও স্থান জানানোর কথা বলেও পরে বিজেপির কোনও প্রতিনিধিকে তাঁর সভায় বা অন্য কোনও খোলা মঞ্চে পাঠানো হয়নি। সেটাকেই কটাক্ষ করে অভিষেক এদিন বলেন, ‘বিজেপির সেজ-মেজ যে কোনও নেতাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেলাম। বিজেপি ১০০ ঘণ্টা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেনি, তাহলে কে ঠিক বলছে, কে ভুল? ২০ জনকে বোঝানোর দায়িত্ব দিলাম। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারছে না।’

    গঙ্গারামপুরের সভা থেকে দলীয় কর্মী, সমর্থকদের অভিষেকের টাস্ক, আপনারা বাড়ি গিয়ে ২০ জনের দায়িত্ব নিন। সেই ২০ জনকে গিয়ে আপনি বোঝাবেন, আমার চ্যালেঞ্জ এঁরা গ্রহণ করতে পারল না। তাঁর কথায়, ‘যে আমার চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন না, তাঁদের গ্যারান্টি নেবেন?’ এখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভোট প্রচার কৌশল ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ স্লোগানে কটাক্ষ করেন অভিষেক। পাশাপশি, ভোট প্রচারে এসে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর দুই জেলার জন্য রাজ্য সরকার কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করে গিয়েছেন তাঁর তথ্য তুলে ধরেন।
  • Link to this news (এই সময়)