আন্তোনিয়ো হাবাসের দল দ্বিতীয়ার্ধে ভেঙে পড়ায় আইএসএলের দ্বিতীয় ডার্বিতে পাঁচ গোল হয়নি। কিন্তু যুব ডার্বিতে বাস্তব রায়ের ছেলেরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে খেললেন। ইস্টবেঙ্গলকে ফেরার কোনও সুযোগই দেননি। ১৯৭৫ সালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ০-৫ হারের স্মৃতি এখনও চাঙ্গা অনেক মোহনবাগান সমর্থকদের মনে। সিনিয়রদের ম্যাচে পাঁচ গোল দিলেও কখনও ইস্টবেঙ্গলকে ৫-০ হারাতে হারাতে পারেনি মোহনবাগান। সোমবার প্রায় কাছাকাছি গিয়েও ইস্টবেঙ্গল সম্মান বাঁচাল একটি গোল করে।
দুটো দলেই আইএসএলে খেলা তরুণ ফুটবলারেরা ছিলেন। ইস্টবেঙ্গলে যেমন ছিলেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, গুরনাজ সিংহ গ্রেওয়ালরা, তেমনই মোহনবাগানে ছিলেন রাজ বাসফোর, সুহেল ভাট, ফারদিন আলি মোল্লা, দীপেন্দু বিশ্বাসেরা। মোহনবাগান ধারে-ভারে এগিয়ে থাকায় তাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন শিবাজিৎ। প্রথমার্ধে শেষের আগে ২-০ করেন টাইসন সিংহ। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন সুহেল। পঞ্চম গোল দীপেন্দুর। ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র গোল আমন সিকের।
ম্যাচের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার রণিত সরকার। তাঁকে সান্ত্বনা দেন মোহনবাগানের কোচ বাস্তব। সঙ্গে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ম্যানেজার প্রতীম সাহাও। পরে এক ইউটিউব চ্যানেলে বাস্তব বলেন, “খুব ভেঙে পড়েছিল। কান্নাকাটি করছিল। আমি গিয়ে চাঙ্গা না করলে কে করবে? এটা ডেভেলপমেন্ট লিগ। এখান থেকেই আস্তে আস্তে শিখবে ওরা।”