স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের রানিতলা
থানা এলাকার বেগুনঢুহি গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাশের
গ্রামের এক যুবকের। কিন্তু ওই যুবকের পরিবারের আপত্তি ছিল সম্পর্কে। অন্য দিকে, পরিবারের
আপত্তি উপেক্ষা করে প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য সোজা তাঁর বাড়িতে চলে যান ওই
যুবক। যুবকের পরিবারের সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন বাড়ি ফেরেননি তিনি। অন্য দিকে,
যে তরুণীর বাড়িতে ওই যুবক উঠেছিলেন বলে দাবি, বেশ কিছু দিন ধরে ওই বাড়ির দরজায়
তালা ঝুলছিল। প্রতিবেশীদের দাবি, তিন দিন যাবৎ বাড়ির তালা বন্ধ ছিল। আচমকাই ওই
পরিবারের কারও দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। রবিবার রাত থেকে পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর
থেকে সন্দেহ বাড়ে প্রতিবেশীদের। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে
সোমবার ওই তরুণীর বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাঙ্ক ভাঙা হয়। দেখা যায় ট্যাঙ্কের
ভিতরে পড়ে রয়েছে যুবকের দেহ। শোরগোলের মধ্যে রানিতলা থানার পুলিশবাহিনী আসে
ঘটনাস্থলে। কিন্তু পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। তাঁদের সঙ্গে
কথাবার্তা বলার পর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, এই দেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তে ঘটনাস্থলে
ভিড় জমান আশপাশের বেশ কয়েক’টি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের একটাই দাবি,
অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে ওই তরুণী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। ঘটনার তদন্ত
শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ওই
যুবকের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে
পুলিশ। যে বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, ওই পরিবারের
সদস্যদের খোঁজ শুরু করা হয়েছে।