মহাসঙ্ঘের প্রধানের পদ নিয়ে শান্তনু এবং মমতাবালার মধ্যে
বিরোধের দীর্ঘ দিনের। প্রথম জন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এবং
দ্বিতীয় জন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। শান্তনুর অভিযোগ, পুলিশ ‘বেআইনি ভাবে’ মতুয়া
সম্প্রদায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে। তার পরই হাই কোর্টে মামলা করার
আবেদন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। তাঁর আইনজীবীর কথায়, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে
ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মমতাবালা। ওই বিষয়টি
আদালতের নজরে নিয়ে আসা হবে।
দিন কয়েক আগে মমতাবালা অভিযোগ করেছিলেন, বেসরকারি ব্যাঙ্কে
অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের নামে একটি অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকা জমা করেছেন শান্তনু। মানুষকে
সিএএ নিয়ে ভুল বুঝিয়ে কার্ড তৈরি করিয়ে টাকা তুলছেন তিনি। সেই টাকাই জমা পড়ছে
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় লিখিত অভিযোগও করেছিলেন
মমতাবালা।
এমনিতেই রাজনৈতিক ভাবে বনগাঁর ঠাকুরবাড়ি দুই শিবিরে
বিভক্ত। দেশে সিএএ চালু হওয়ার পর সেই বিরোধ চরমে ওঠে। শান্তনু যেখানে সিএএ সমর্থনে
প্রচার শুরু করেছেন, সেখানে মমতাবালা তার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। মমতাবালার দাবি,
এই আইনে নিঃশর্ত নাগারিকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর আরও অভিযোগ, একই রেজিস্ট্রেশন
নম্বরে দু’টি সংগঠন চালানো হয়। যদিও সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তনু।