• ‘করোনার সময় কোথায় ছিলেন?’ শ্যামনগর জুট মিলে শ্রমিকদের রোষের মুখে লকেট
    এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৪
  • নির্বাচনী প্রচারের মাঝেই সোমবার ভদ্রেশ্বর জুট মিলে যান হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। জুট মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে, শ্রমিকদের সমস্যার কথা জানতে যান প্রার্থী। দুই তরফের আলোচনার মাঝেই প্রার্থীকে শুনতে হয়, ‘করোনার সময় কোথায় ছিলেন?’ যদিও, শ্রমিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন হুগলির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর জুটমিলে অচলাবস্থা চলছে গত কয়েকদিন ধরে। চুক্তি না মেনে শ্রমিকদের উপর কাজের বোঝা চাপানো, এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে বদলি করার মত অভিযোগ তুলে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। গত শনিবার এক প্রস্থ ত্রিপাক্ষিক আলোচনার পর মিলে কাজে হয়। দু’দিন পর আজ আবার মিলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে মিল গেটে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসে পরে। শুরু হয় ধরনা। খবর পেয়ে এদিন দুপুরে হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় জুটমিলের সামনে পৌঁছান।

    সেখানে শ্রমিক পরিবার গুলো তাদের কষ্টের কথা বলতে থাকেন। এক প্রৌঢ়া কান্নায় ভেঙে পড়েন। লকেট তাঁকে সান্ত্বনা দেন। এর মাঝেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা লকেটকে প্রশ্ন করেন, ‘করোনার সময় কোথায় ছিলেন? আমরা যখন না খেয়ে মরছিলাম আসেননি তো!’ লকেট তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তিনি এসেছিলেন। তর্ক শুরু হতেই স্লোগান তোলে বিজেপি কর্মীরা। লকেট বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। শ্রমিকরা রাস্তায় বসে রয়েছে। না জানিয়ে চুক্তি করা হয়েছে। সেই বরখাস্ত করাবো।’

    দু'হাত তুলে নাচ, কাঁসর ঘন্টা বাজালেন লকেট চট্টোপাধ্যায়

    শ্রমিকদের বক্তব্য, করোনার সময় বা মিলে সমস্যা হলে কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। এখন ভোট এসেছে তাই সবাই আসছে। শ্রমিকদের সমস্যা মিটছে না। ধর্নারত শ্রমিক পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন সিটু হুগলি জেলা নেতৃত্ব। সিটু সম্পাদক তীর্থঙ্কর রায় জানান, শ্রমিকদের শোষণ করা হচ্ছে। দেওয়ালে পিঠ না ঠেকলে কেউ রাস্তায় বসে না।।এখানকার জুটমিল মালিকরা শ্রমিকদের উপর যে ভাবে জুলুমবাজি করছে তার বিরুদ্ধে সকাল থেকে রাস্তায় বসেছে, এই লড়াইকে সিটু সমর্থন করে। মিল কর্তৃপক্ষ ম্যান মেশিন রেসিও মেনে কাজ করছে না। শ্রমিকদের বদলি করা বা বসিয়ে দেওয়া বেআইনি।

    বিষয়টি নিয়ে ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী বলেন, ‘শ্রমিকদের বলা হয়েছিল সোমবার পর্যন্ত মিলটা যেমন চলছে চলুক মঙ্গলবার আলোচনা করা হবে। আমরা সবাই চাইছি মিলটা চলুক। ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছিলাম মিলটা চলুক। কাউকে মিলের বাইরে রাখা যাবে না বলেছিলাম। মিলটা চলুক শ্রমিকদের দাবী নিয়ে আলোচনা হোক।
  • Link to this news (এই সময়)