• ‘ইছামতী নদী সংস্কারের টাকা কোথায়?’ শান্তনুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিশ্বজিৎ
    এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৪
  • কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দলের সাংসদ হয়েও বিজেপি সাংসদরা নিজেদের এলাকার জন্য কোনও উন্নয়ন করেননি – এরকমই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই একই অভিযোগ তুলে বনগাঁ কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস।ভোট প্রচারে একটি জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস, বিজেপি এবং এলাকার বর্তমান সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘স্বরূপনগরের নিকটবর্তী ইছামতী নদী সংস্কারের জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সাংসদ তা আত্মসাৎ করেছেন।’ জনসভায় উপস্থিত দর্শকদের প্রতি তৃণমূল প্রার্থীর পরামর্শ, তাঁরা সরাসরি শান্তনু ঠাকুরের কাছ থেকে জানতে চান যে বর্তমান সাংসদ তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা এলাকার উন্নয়নে কীভাবে ব্যবহার করেছেন?

    সোমবার বনগাঁয় আয়োজিত একটি সভায় বিশ্বজিৎ বলেন, ‘ইছামতী নদী সংস্কারের জন্য শান্তনু ঠাকুর ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিলেন এবং সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য একটি ড্রেজিং মেশিনও পেয়েছিলেন। ১০ দিনের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যায় এবং তাতে ৫০ কোটি টাকাও খরচ হয়নি।’ বাকি টাকা শান্তনু ঠাকুর নিজেই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি বাগদা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের প্রকল্পটি অনুমোদন করেছিলেন। কিন্তু, শান্তনু ঠাকুর সেই প্রকল্প রূপায়নেও ব্যর্থ হয়েছেন। যদি তিনি ও তাঁর দল, মতুয়া সম্প্রদায়কে এতই ভালোবাসেন, তাহলে মতুয়াদের জন্য একটি স্কুল পর্যন্ত নির্মাণ করলেন না কেন? আর এখন ওঁরা নির্মমভাবে সিএএ কার্যকর করছেন।’

    বনগাঁয় প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর, আনন্দে লাড্ডু বিতরণ-আবির খেলা

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিশ্বজিৎ-এর দাবি, ‘কেন্দ্রীয় সরকার কেবলমাত্র জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে মানুষে-মানুষে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে। তাঁরা ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার আওতায় অসংখ্য মানুষকে তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত রেখেছে।’ অথচ, প্রবল আর্থিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিত শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি মেটানোর ব্যবস্থা করেছেন এবং তিনি বঞ্চিত দরিদ্র উপভোক্তাদের তাঁদের প্রাপ্য বাড়িও তৈরি করে দেবেন। পাশাপাশি, তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো অসংখ্য জনকল্যাণমুখী প্রকল্প রূপায়িত করেছেন বলে জানান বিশ্বজিৎ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে সামনে পেয়ে নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানান। জবাবে বিশ্বজিৎ তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেন, যে মুহূর্তে তিনি এলাকার সাংসদ নির্বাচিত হবেন, সমস্ত সমস্যা সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। স্থানীয় মতুয়া শিল্পীদের সঙ্গে ঢাক বাজান তৃণমূল প্রার্থী। বাংলার বৈচিত্রময় সংস্কৃতি উদযাপন করতে বাগদার বিধায়ক উল্লসিত জনতার সঙ্গে নাচের ছন্দেও পা মেলান।
  • Link to this news (এই সময়)