• কর্তব্যে গাফিলতিতে সাসপেন্ড! ভোটে সেই বিবেকেই ভরসা কমিশনের...
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ মার্চ ২০২৪
  • সঞ্জয় ভদ্র: রাজ্য পুলিসের নতুন ডিজি বিবেক সহায়। রাজ্যের তরফে ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার বিবেক সহায়, ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এবং ১৯৯০ ব্যাচের আইপিএস অফিসার দেবাশিষ রায়ের নাম কমিশনে পাঠায় বলে খবর। তার মধ্যে বিবেক সহায়কে রাজ্যের পরবর্তী ডিজি হিসেবে বেছে নিয়েছে কমিশন। এখন একসময় যে নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল, সেই নির্বাচন কমিশনারই আবার তাঁকে রাজ্য পুলিসের ডিজি নিয়োগ করল! এদিকে ১ বছর আগে রাজ্য সরকারও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেয়! ফলে সব মিলিয়ে রাজ্য পুলিসের নয়া ডিজিরও পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক।২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পায়ে চোট লাগে। যেজন্য পরবর্তীতে তাঁকে হুইলচেয়ারে প্রচার সারতে দেখা যায়। সেই সময় বিবেক সহায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে নির্বাচন কমিশনের ২ পর্যবেক্ষক দেখেছিলেন, জেড প্লাস সিকিউরিটি পাওয়া একজন ব্যক্তি একটি সাধারণ গাড়িতে ঘুরছেন আর তাঁর জন্য  দেওয়া বুলেটপ্রুফ ভেহিকলে ছিলেন তৎকালীন ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি বিবেক সহায়। তিনি ঘটনাস্থলে নামেনওনি। এই ঘটনায় 'গ্রস নেগিলেজেন্স অফ ডিউটি'র অভিযোগ হয় বিবেক সহায়ের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের ২ পর্যবেক্ষক তাদের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করেন যে, নিরাপত্তা অধিকর্তা হিসেবে বিবেক সহায় তাঁর প্রাথমিক কর্তব্য পালন করেননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে একটি সাধারণ গাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাঁকে সুরক্ষা দিতে তাঁর পাশে না গিয়ে, তাঁকে 'ম্যানিং' না করে তিনি নিজে পিছনে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে বসেছিলেন। এরপরই বিবেক সহায়কে তাঁর পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁকে আবার নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু এবার ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই নিরাপত্তা লঙ্ঘনের একটি ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কনফারেন্স রুমের বাইরে এক যুবককে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়। তদন্তে দেখা যায়, ওই যুবক ৭ ঘণ্টা আগে পাঁচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রীর সিকিউরিটির ইনার-পেরিফেরিতে ঢুকে পড়েন ও সেখানেই ৭ ঘণ্টা সময় কাটান। কিন্তু তা কারও নজরে পড়েনি। এই নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রাথমিক রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তৎকালীন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব বিবেক সহায়কে নিরাপত্তা অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে দেন। তাঁকে ডিজি প্রভিশনিং করে দেওয়া হয়। যা কিনা 'শানটিং পোস্ট' নামেই পরিচিত। সেই বিবেক সহায়কে ২০২৩-এর নভেম্বরে ডিজি হোমগার্ড করা হয়। এর ৪ মাসের মাথায় নির্বাচন কমিশন বিবেক সহায়কে রাজ্য পুলিসের ডিজি করল!
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)