• ভোট আসে ভোট যায়, স্বাধীনতার ৭৬ বছরেও কাঁচা রাস্তাই যোগাযোগের একমাত্র ভরসা!
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ মার্চ ২০২৪
  • শ্রীকান্ত ঠাকুর: স্বাধীনতার পর ছিয়াত্তরটা বছর কেটেছে। এখন হাতে হাতে এসেছে স্মার্টফোন। গ্রামে স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। রয়েছে প্রাথমিক স্কুল। তবুও এখনও মাটির রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করতে হয় তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুরের গ্রামবাসীদের।বালুরঘাট তপন রাজ্য সড়ক থেকে ভবানীপুর গ্রামের ঢুকতে প্রায় দু কিলোমিটার মাটির রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয়। আড়াইশো পরিবার বসবাস করেন। ভোটার সংখ্যা ৭০০। ভবানীপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আশপাশের কাশমুলাই, ভবানীপুর, হাসাইপুর, পর্বতপুর, ইজানগর ফতুল্লাপুর, চেঁচাই, জ্ঞানবই, মনিপুর  সহ বিভিন্ন গ্রামের থেকে রোগীরা আসেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলছেন রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসার সময় গর্ভবতী  মায়েরা দু কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে আসেন। ইট বিছানো রাস্তার যা হাল তাতে সুস্থ হবে টোটোই বসে থাকা যায় না। এই রাস্তা টোটো চলাচলেরও অযোগ্য।বালুরঘাট তপন রাজ্য সড়ক থেকে ভবানীপুর গ্রামের ঢোকার মুখে দু কিলোমিটার রাস্তার অর্ধেক, কুড়ি বছর আগে বাম জমানায় ইঁট বিছানো হয়েছিল কিন্তু সেই ইঁট এখন উঠে চলে গেছে। এখন রাস্তায় বড় বড় গর্ত। বাকিটা রাস্তা এখনো পর্যন্ত মাটির যা  চলাচলের অযোগ্য। বর্ষায় এই রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন না গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বাম ড ান তৃণমূল বিজেপি সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাস্তা করে দেওয়ার জন্য। একাধিকবার গ্রামবাসীরাও প্রশাসনিক মহলে দরবার করেছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এখন গ্রামবাসীদের একটাই দাবি ভবানীপুরের যাবার দু কিলোমিটার এই মাটির রাস্তা  অন্ততপক্ষে সিমেন্টের কংক্রিট রাস্তা করা হোক। কারণ এই গ্রাম থেকে প্রাইমারি স্কুলের পাশ করার পর উচ্চ বিদ্যালয় পড়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের হয় বালুরঘাট নাহলে বালাপুর হাইস্কুলে পড়াশোনা করতে যেতে হয়। এছাড়াও নিত্য প্রয়োজনে গ্রামবাসীদের বাইরে যেতে হয় প্রতিদিনই। অন্ততপক্ষে পাঁচটি গ্রামের মানুষের ভবানীপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসার জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করেন। বারবার জানিও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় নেয়নি রাজনৈতিক নেতাদের কেউ অনুরোধ করা ছেড়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা যার ফলে পথশ্রী প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা কোন কিছুতেই এই গ্রামের নাম আসেনি অবশ্য জেলা পরিষদের সহকারী সভাপতির অম্বরিশ সরকার বলেছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যে সমস্ত রাস্তা এখনো পর্যন্ত মাটির রয়েছে সেগুলিকে নিয়ে বিশেষ চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে জেলা পরিষদ অল্প দিনের মধ্যেই এই সমস্ত রাস্তা গুলি শুরু হবে। এবং তিনি স্বীকারও করে নিয়েছেন প্রত্যন্ত গ্রামগুলিকে এখনো পর্যন্ত রাস্তার ব্যবস্থা করা যায়নি।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)