'এ এক জতুগৃহে কলকাতা বসবাস করছে', গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ৯!
২৪ ঘন্টা | ১৯ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : মৃত বেড়ে ৯! গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলল বিজেপি। স্রেফ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নয়, রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল তারা। 'এ এক জতুগৃহে কলকাতা বসবাস করছে', বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঘটনাটি ঠিক কী? রবিবার রাতে গার্ডেনরিচের আজহার মোল্লা বাগানে এলাকায় ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়েন বহু মানুষ। উদ্ধার কাজ চলছে এখনও। প্রাথমিকভাবে ৪ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছিল। পুলিস সূ্ত্রে খবর, সেই সংখ্যাটা এখন বেড়ে হয়েছে ৮।রাতেই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সকালে পৌঁছন মুখ্য়মন্ত্রীও। বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বহুতল নির্মাণে যুক্ত প্রোমোটারকে। খুনের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে পুলিস। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ঘোষণা, 'মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আহতদের পাবেন ১ লক্ষ টাকা'।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তাহলে কীভাবে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা? প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। গেরুয়াশিবিরে দাবি, 'আদর্শ নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার পর মুখ্য়মন্ত্রী বা পুরমন্ত্রী আর্থিক সাহায্য় ঘোষণা করতে পারেননি। যদি আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করতেই হয়, তাহলে প্রশাসনের প্রধান হিসেবে মুখ্যসচিব তা ঘোষণা করতে পারেন'।গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে রাজ্য় সরকারকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু। দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'আমি মনে করি, কালকে ভোরের আগেই যদি NDRF-র সাহায্য চেয়ে নিত,মুখ্যমন্ত্রীর আসার অপেক্ষা না করে, তাহলে মৃত্যু সংখ্যা কমত। ধ্বংসস্তুপের নিচে যাঁরা ছিলেন তাদের অনেকে মারা গিয়েছে এখনও অবধি। সময়টা চলে যাওয়ার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে বা গুরুতর আহত হয়ে মারা গিয়েছে। সরকারের এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, নিন্দা করি'।
শুভেন্দুর অভিযোগ, 'কলকাতা বা KMDA এলাকাতে তৃণমূল কংগ্রেস আসার পর থেকে, তাঁরা কোথাও ছোট পুকুর, ডোবা, জলাশয়, এমনকী খালও..কোথাও বাকি রাখেনি। যদি ভারত সরকারের কোনও সংস্থাকে দিয়ে ওডিট করা যায়, তাহলে দেখবে কয়েক হাজার পুকুর বোজানো হয়েছে। শুধু মেটিয়াবুরুজ, গার্ডেনরিচ বন্দর এলাকা যেখানে মাননীয় মেয়র বিধায়ক, সেখানে ৮০০ বেআইনি নির্মাণ আছে। এ এক যতুগৃহে কলকাতা বসবাস করছে'। বিরোধী দলনেতার আরও বক্তব্য, 'বৃহত্তর তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা দাবি করছি, ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহতদেরও কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আগামী ১ মাসের মধ্যে কলকাতা পুরসভাকে ওয়ার্ড ধরে ধরে অনুমোদিত বিল্ডিং ও অনুমোদনহীন বিল্ডিংয়ের তালিকা প্রকাশ করতে হবে'।