গার্ডেনরিচে কংক্রিটের নীচে আরও ২ জনের আটকে থাকার আশঙ্কা, বেআইনি নির্মাণ সমূলে নিকেশে পদক্ষেপ পুরসভার
এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৪
রবিবার রাত ১২টা নাগাদ কলকাতার গার্ডেনরিচে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। এরপর মাঝে বহু সময় পার হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলেছে উদ্ধারকাজ। মাথার চোট নিয়েই গার্ডেনরিচে যান মমতা। এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে 'অ্যাকশন' নেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। রাত পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালানো হয়। ১০ জনকে বাইরে বার করে আনে এনডিআরএফ। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও বেশ কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার রাতের আলোর অভাবে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হয়েছিল। আলো ফুটতেই আবার জোর কদমে শুরু হয়েছে কাজ। ঘটনায় উদ্ধারকারী দল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালাচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের মেটিয়াবুরুজের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও দু'জন এই ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার চিত্রটা ভয়াবহ। চারিদিকে পড়ে চাঙড়, বাঁশ, টিন। সেই সমস্ত কিছু সরিয়ে উদ্ধার কাজ চালানো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার চিত্রটা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ইতিমধ্যেই তিন জন ইঞ্জিনিয়ারকে শো কজ করা হয়েছে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'শুরুতেই বেআইনি নির্মাণ ধরব। বাড়ি তৈরি হওয়ার পর সেখানে যদি মানুষ থাকতে শুরু করে তাহলে সমস্যা হয়। এই সমস্ত কেন হবে? শুরুতেই যদি আটকে দেওয়া হয় তা হলে এই সমস্ত ঘটনা ঘটে না।'
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ ক্ষতিপূরণের ঘোষণা
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মেয়রকে জিজ্ঞাসা করি, অফিশিয়াল পারমিশন ছিল কিনা। ও বলল, না। বেআইনি কিছু হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল অ্যাকশন নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব।'
এই ঘটনায় বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গ টেনে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রোমোটার এবং অন্যান্য কারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুয়ো মোটো মামলা দায়ের করা হয়েছে পুলিশের তরফে। সংশ্লিষ্ট বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র, অ্যাটিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র এবং সাব অ্যাটিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রকে শো কজ করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যদি সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন সেক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।