• ব্যাঙ্কে জমা তহবিলের ৪০ কোটি টাকা, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সম্পত্তির পরিমাণ জানেন?
    এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৪
  • দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে অগণিত ভক্ত। ফলে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অনুদান বাক্স সর্বদাই টইটম্বুর থাকে। নিত্যদিনই লাখ লাখ টাকার অনুদান আসে জগন্নাথদেবের নামে। এ ছাড়াও জগন্নাথ মন্দিরের উন্নয়নের জন্য ফান্ড বরাদ্দ করা হয়। এবার প্রকাশ্যে এল পুরীর মন্দিরের তহবিলের রাশির একটি অংশ। জানা গিয়েছে, শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সম্প্রতি ওডিশার দু'টি রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাঙ্কে ৩৯ কোটি ২২ লাখ তহবিলের টাকা জমা করেছে।এ প্রসঙ্গে সোমবার সংবাদমাধ্যমে মন্দিরের উন্নয়ন প্রশাসক প্রদীপ কুমার সাহু বলেন, 'মোট তহবিলের অঙ্ক দু'টি ভাগে ব্যাঙ্কে জমা করা হয়েছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে, নির্দিষ্ট পরিমাণে সুদের হারে রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাঙ্কগুলিকে বিডিংয়ের আহ্বান করা হয়। এইবারের তহবিলের টাকার জন্য আমরা ৩ কোটি ১৭ লাখ এবং ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার জন্য নিলাম করিয়েছি।'

    প্রদীপ কুমার সাহু আরও জানিয়েছেন, এই নিলামে অংশ নিয়েছিল ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, কানাড়া ব্যাঙ্ক, ইকো ব্যাঙ্ক এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের মতো চারটি রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাঙ্ক। মন্দির ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতেই এই নিলাম চলে। ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার জন্য নিলামে সর্বোচ্চ দর হাঁকে কানাড়া ব্যাঙ্ক (৭.৮ শতাংশ)। ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার জন্য ব্যাঙ্ক অফ বরোদার সুদের হার ছিল ৭.৫৫ শতাংশ।

    জগন্নাথ মন্দিরের মোট সম্পত্তি কত?জগন্নাথদেবের মন্দিরে সারাবছরই ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ভগবানের উদ্দেশে নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূরণে ভক্তরা মোটা অঙ্কের প্রণামীও দেন বছরভর। মন্দির প্রধান দেশ ভারতে সবচেয়ে ধনী দেবালয়গুলির তালিকায় রয়েছে পুরীর ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথধামও। তবে ১২ শতাব্দীর জগন্নাথ মন্দিরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ অজানা। সম্পত্তির পরিমাণ কত সে সম্পর্কে সঠিক ভাবে কোনও তথ্য মেলে না। তবে অনুমান করা হয়েছে মন্দিরে ১০০ কেজির বেশি সোনা ও রুরো আছে।

    সোনা-দানায় ঠাসা রত্ন ভাণ্ডার!এ ছাড়াও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে মোট কত রত্ন আছে তা নিয়ে রহস্য রয়েই গিয়েছে। রত্ন ভাণ্ডার প্রথম খোলা হয় ১৯৭৮ সালে। এরপর ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ফের খোলা হয় ভাণ্ডার। যদিও শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের ১৯৫৫ সালের আইন অনুযায়ী, রত্ন ভাণ্ডার পরীক্ষার অনুমতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও এই ভাণ্ডারের ভিতর কী রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি দীর্ঘকাল। এই নিয়ে মামলায় আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ওডিশা হাইকোর্টে একটি হলফনামা জমা করেছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পুরীর রত্নভাণ্ডারে মোট সোনা রয়েছে প্রায় ১৫০ কোজি। রুপোর পরিমাণ ১৮৪ কেজি। জগন্নাথ মন্দিরের এই রত্ন ভাণ্ডারে রয়েছে মোট তিনটি কুঠুরি। প্রতিটি কুঠুরিতেই সোনা-দানা ঠাসা। প্রথম চেম্বার বা কুঠুরিতে রয়েছে ৫০ কেজি ৬০০ গ্রাম সোনা এবং ১৩৪ কেজি ৫০ গ্রাম রুপো। দ্বিতীয় কুঠুরিতে ৯৫ কেজি ৩২০ গ্রাম সোনা এবং ১৯ কেজি ৪৮০ গ্রাম রুপো। একদম শেষের কুঠুরিতে রয়েছে ৩ কেজি সোনা এবং ৩০ কেজি রুপো।
  • Link to this news (এই সময়)