বেআইনি নির্মাণ বন্ধে চাই কড়া ব্যবস্থা, গার্ডেনরিচ কাণ্ডে শোভনের নিশানায় কে
প্রতিদিন | ১৯ মার্চ ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য সরকার আইন করে রেখেছে। কলকাতা পুরসভার (KMC) তরফে তা বলবৎ করার সুযোগ আছে। বেআইনি নির্মাণ রুখতে শুধু পরিস্থিতির কড়া হাতে মোকাবিলা দরকার। গার্ডেনরিচের ঘটনার প্রেক্ষিতে এই পরামর্শ দিতে গিয়ে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) বক্তব্য, শুধু একে-তাকে দায়ী করলে চলবে না। দলমত নির্বিশেষে সঠিক পদক্ষেপ করতে হবে। গার্ডেনরিচের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) কতটা উদ্বিগ্ন সে কথা তুলে ধরে সোমবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন শোভনবাবু। সেখানে তিনি বলেন, “বেদনাহত অবস্থায় মাথার জখম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই এই সাহসিকতা দেখাতে পেরেছেন।”
প্রাক্তন মেয়রের পরামর্শ, “শুধু কাউন্সিলর আর কয়েকজন আধিকারিককে দায়ী করে বিতর্ক তৈরি না করে এখন সঠিক পদক্ষেপ করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে তা করতে হবে।” গার্ডেনরিচের (Garden Reach) মতো জায়গায় রমজান মাসে এমন একটি ঘটনার জন্য উদ্বিগ্ন প্রাক্তন মেয়র। এই পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি। রমজান (Ramadan) মাসে মাঝরাতে একটি ৩ ফুট গলির ভিতর পাঁচতলা বেআইনি বাড়ি ভেঙে পড়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই ৩৩ বছর আগের কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ১৯৯০ সালে বাঙুর কমপ্লেক্স, তার পর কুন্দলিয়া কমপ্লেক্স ভেঙে পড়ার মতো মর্মান্তিক সব ঘটনা ঘটেছিল। সেসব উল্লেখ করে প্রাক্তন মেয়রের মন্তব্য, “সেসময়ও অনেক মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। রাজ্য সরকার একবারও তাদের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেনি। আমি নিজে মেয়র থাকাকালীন এরকম ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ যেমন সংবেদনশীল, তেমন সেদিনও সংবেদনশীল হয়ে আমায় পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িগুলো ভেঙে দিয়ে রাজ্য সরকার নতুন করে আইন তৈরি করে বাড়ি করে দিয়েছিল।”
এই প্রেক্ষিতেই শোভনবাবু মনে করিয়ে দেন, এই পরিস্থিতি রুখতে হলে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁর কথায়, “৩৩ বছর বাদে একটি ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে, আইন রয়েছে। কিন্তু আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনি নির্মাণ করার জন্য কিছু মানুষ এখনও রয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে শক্ত হাতে এর মোকাবিলা করতে হবে।” অর্থাৎ প্রাক্তন মেয়রের নিশানায় বর্তমান পুর প্রশাসন, তা স্পষ্ট।