• Parsis Community : পাতরনি মচ্ছি থেকে নভরোজ, আড্ডা, গপশপে শহরের পার্সিরা
    এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: খাবারটার নাম পাতরানি মচ্ছি। নামে মিল দেখে যদি কারও মনে কিছুটা সন্দেহ দেখা দেয় তাহলে তাঁরে আস্বস্ত করে বলতে হয় — ঠিকই ধরেছেন বাংলায় যাকে মাছের পাতুরি বলে এটা তারই পার্সি সংস্করণ। এখানেই শেষ নয়, জিভে জল আনা এমন আরও অনেক খাবার নিয়েই আলোচনা হলো রবিবার সন্ধেয়। ওই তালিকায় ছিল মাটন ধনসক, সালি মা মার্ঘি, সালি বোটি ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। শুধু খাবার নয়, পার্সিদের নতুন বছরকে আবাহন করার উৎসব নভরোজে কী ভাবে টেবিল সাজানো হয়, আড্ডায় উঠল সেই প্রসঙ্গও।সময়টা ১৮৮৬ সাল। ভারত থেকে ইংল্যান্ডে ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল একটা টিম। নামে ভারতীয় টিম হলেও সেই টিমের প্রত্যেক সদস্যই ছিলেন পার্সি। বহু বছর পরেও কখনও বিজয় মার্চেন্ট, কখনও পলি উমরিগর, আবার কখনও বা ফারুক ইঞ্জিনিয়ারের মতো পার্সি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার ভাপতীয় ক্রিকেটকে গর্বিত করেছেন। শুধু সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রেই যে এমন হয়েছে না নয়। ভি বালসারার মতো সঙ্গীতজ্ঞ বা রুশি মোদীর মতো কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব ছিলেন কলকাতায়।

    ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়েও কলকাতায় অন্তত তিন হাজারের কাছাকাছি পার্সি ছিলেন। টকটকে ফরসা রং, খাড়া নাকের মুখগুলো যেন শ্বেতপাথর খোদাই করে তৈরি। পরের পঞ্চাশ বছরে কলকাতা থেকে ওঁদের সংখ্যা ক্রমশ কমেছে। ২০২৪-এ এসে শহরে খুব বেশি হলে মাত্র ৩০০-র কাছাকাছি পার্সি রয়েছেন বলে জানাচ্ছেন ওঁরা। সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে, কিন্তু প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রাখা মুষ্টিমেয় এই সম্প্রদায় আজও তাঁদের পুরোনো সংস্কৃতি এবং ইতিহাস নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।

    রবিবার ওলপাডওয়ালা হলে শহরের পার্সিদের বিশেষ আড্ডার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বাওয়া, ভোনু অ্যান্ড গপশপ’। এই আড্ডাতেই যোগ দিতে এসেছিলেন শহরের পার্সিদের প্রতিনিধি প্রোচি মেহতা, নুমি মেহতা, ইয়েজদি কারাই, সাইরাস মাদান প্রমুখরা। কতদিন আগে পার্সিরা প্রথম ভারতে আসতে শুরু করেন? কী ভাবেই বা তাঁরা ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে গিয়েও নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে পারলেন সেই বিষয়ে বিশদে শোনালেন প্রোচি মেহতা। এদিনের আড্ডায় তাঁর লেখা ‘হু ইজ় এ পার্সি?’ বইতে ওই সমাজের বহু অজানা তথ্যই সামনে এল।
  • Link to this news (এই সময়)