• Lok Sabha Election 2024 : রাজ্য়ে আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর কেন্দ্রের সংখ্যা কত? চিহ্নিত করে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের
    এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৪
  • একাধারে, লোকসভা নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, ভোটের সময় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়েও শ্যেন দৃষ্টি রয়েছে কমিশনের। সেক্ষেত্রে, পশ্চিমবঙ্গের কয়টি আসন আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর, জানিয়ে দিল কমিশন।ভোটের আগে হাওয়ায় উড়ছে টাকা। রাজ্যের একাধিক জেলায় ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার মাঝে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রকেই আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর হিসেবে ভূষিত করছে কমিশন। বিগত নির্বাচনের থেকে অনেক বেশি অঙ্কের টাকা উদ্ধার হওয়ায় ৪২টি কেন্দ্রকেই স্পর্শকাতর হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

    গতবারের পরিসংখ্যান কী?

    একটি বাংলা দৈনিকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে উদ্ধার হয়েছিল মোট ১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় উদ্ধার হয় ১১৮ কোটি ৪ লাখ টাকা। সেই সংখ্যাটা একলাফে অনেকটাই বেড়ে যায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। বিধানসভা নির্বাচনে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩০০ কোটি ১১ লাখ টাকা। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গোটা রাজ্যের সব কয়টি কেন্দ্রকেই স্পর্শকাতর হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

    Lok Sabha Election 2024 : পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ নির্ঘণ্ট প্রকাশ! জানুন এক নজরে

    কোন জেলায় বেশি নজর?

    ইতিমধ্যে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য আয়কর দফতর, ইডি সহ প্রায় ২২টি এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রথমবার রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের জন্য ‘অতিরিক্ত ব্যয় পর্যবেক্ষক’ও নিয়োগ করা হয়েছে। সব কয়টি আসনের মধ্যে দার্জিলিং-সহ সীমান্তবর্তী একাধিক লোকসভা এবং কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, আসানসোল, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। এগুলোকে অতি স্পর্শকাতর জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপশি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর এলাকায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। সোমবারই জেলাশাসকদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরে ফেলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর। এবার বেআইনি অর্থ উদ্ধারের পরিমাণ আরও ছাপিয়ে যেতে পারে বলেও ধারণা কমিশনের।

    তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি ছাড়াও অন্যান্য বেআইনি পাচার চক্র, মাদক দ্রব্য পাচার সহ নানা অনৈতিক কার্যকলাপের উপরেই বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষত, সীমান্ত নিকটবর্তী জেলাগুলো থেকে বছরের অন্যান্য সময়ও মাদক সহ নানা জিনিস পাচারের ভুরিভুরি অভিযোগ উঠে আসে। একাধিক প্রতিবেশী দেশ থেকে আন্তঃ দেশীয় পাচার চক্র কাজ করে। সেগুলির দিকেও এবার বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে ভোটের আগে।
  • Link to this news (এই সময়)