Lok Sabha Election 2024: 'নির্বাচন কমিশনকে পার্টি অফিসে পরিণত বিজেপির', সুপ্রিম তদারকিতে ভোটের দাবি ডেরেকের
এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৪
সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে লোকসভা ভোটের দাবি জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও'ব্রায়েন। মঙ্গলবার সরালে আসন্ন লোকসভা ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ডেরেক। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে হোক বলে দাবি জানালেন তিনি।এক্স হ্য়ান্ডেলে কী লেখেছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন?
এক্স হ্যান্ডেলে ডেরেক লেখেন, 'বিজেপির নোংরা কৌশল ধ্বংস করছে নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানকে। বিজেপি কি জনগণের মুখোমুখি এতটাই ভয় পাচ্ছে যে তারা জাতীয় নির্বাচয়ন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের করায়ত্ত্ব করতে চাইছে?'
তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্রের আক্রমণ, 'যে ভাবে নির্বাচিত রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের বদল করা হচ্ছে তাতে বলতেই হয় নির্বাচন কমিশনে নিজের অস্ত্র করে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। নির্বাচিত রাজ্য সরকারে অফিসারদের বদলি করে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে দিতে চাইছে বিজেপি। তাই আমরা চাই, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হোক সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে।
দেখুন ডেরেকের টুইট
সোমবার রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমারকে সারনো নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডেরেক। রাজীবের জায়গা নিয়েছেন বিবেক সহায়। একদা তৃণমূলের হাতে অপসারিত বিবেক সহায়কে নয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তৃণমূল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সম্মুক সমরে নেমেছে। পাশাপাশি বাংলা ছাড়াও গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, বিহার সহ ৬ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকেও অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া, মিজোরাম এবং হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনিক সচিবকেও অপসারণ করা হয়েছে। বৃহন্মুম্বাই পৌর কর্পোরেশনের কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল এবং অতিরিক্ত কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারদেরও সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্রের বার্তা থেকেই স্পষ্ট, এই সবের পিছনে কার্যত বিজেপির অঙ্গুলি হেলনই দেখছে রাজ্যের শাসত দল। তৃণমূলের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের মতো ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এই সিদ্ধান্তে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আর সেই কারণেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের এই অবস্থানকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের উপর অনাস্থারই সমান। এই অবস্থায় বিজেপি বা অন্য় বিরোধী দলগুলি তৃণমূলের এই দাবি নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া জানায় তা দেখার। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসের এই দাবিতে আদৌ গুরুত্ব দেয় কিনা সেদিকেই নজর থাকবে।