Electoral Bond Case : পোস্টে, ড্রপ বক্সে, বেনামে..., দাতা লুকোতে গুচ্ছের যুক্তি
এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৪
এই সময়: বিপুল অর্থ ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন দলই যে পেয়েছে, তা নিয়ে কোনও দিনই সংশয় ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নির্বাচন কমিশনে তথ্য জমা করার পর দাতা-সংস্থার দীর্ঘ তালিকা এখন প্রকাশ্যে। কোন দল কত টাকা পেয়েছে--তার হিসেবও এখন আর গোপন নেই। কিন্তু কোন দাতার কত টাকা কোন দল পেয়েছে--তা এখনও সামনে আসেনি। গোটা দেশ এখন সে আড়াল কাটার অপেক্ষায়। তবে আড়াল বজায়ে মরিয়া দলগুলি এমন সব যুক্তি সামনে আনছে যা তাজ্জব করে দেওয়ার মতো। কোনও দল বলছে দাতার নাম প্রকাশ মানা আইনেই। আবার কোনও দলের যুক্তি, ডাকে এসেছে বা ড্রপ বক্সে বন্ড জমা পড়েছে দাতার নাম ছাড়াই!সর্বোচ্চ দান পাওয়া বিজেপি জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সংশোধনী, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আইন এবং আয়কর আইনকে বর্ম করেছে দাতার নাম গোপনে। অন্য দিকে, কংগ্রেস স্টেট ব্যাঙ্কের কাছেই বিশদ তথ্য চেয়েছে। তবে গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস ৩০ লাখ টাকা বন্ডে প্রাপ্তি নিয়ে খোঁজখবর চালিয়ে ভিএম সালগাঁওকর ও তাঁর ভাইদের নাম প্রকাশ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের দাবি, দলীয় কার্যালয়ে ড্রপ বক্সে জমা পড়েছিল বন্ড। কোনও কোনও দাতা নাম গোপন রেখেই বন্ড পাঠিয়েছিল দলীয় দপ্তরে।
সমাজবাদী পার্টি আবার এক ও দশ লাখি বন্ডে প্রাপ্ত দানের বিশদ তথ্য প্রকাশ করলেও কোটির অঙ্কে সংখ্যা বলেই দায় সেরেছে। এক কোটির দশটি বন্ড পোস্টে এসেছিল দাতার নাম ছাড়াই--এমনই দাবি অখিলেশ যাদবের দলের! নতুন করে বিজেপির সঙ্গী চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলুগু দেশম জানিয়েছে, বিশদ তথ্য হাতে নেই! ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক শরদ পাওয়ারের এনসিপির দাবি, দানের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়নি। কোনও দাতাকে রিসিপ্ট দেওয়াও হয়নি।
সেই সঙ্গে পাওয়ারের দলের আরও যুক্তি, দলের নেতা-কর্মীরা ব্যস্ত নির্বাচনের কাজে! লালুপ্রসাদ-তেজস্বী যাদবের দল আরজেডি জানিয়েছে, দেড় কোটির দান পেলেও দাতার তথ্য নেই। নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের যুক্তি আরও মজার। তাদের দাবি, ২০১৯-এ ১০ কোটি টাকার ইলেক্টোরাল বন্ড কেউ এক জন খামে ভরে অফিসে পৌঁছে দিয়েছিলেন। খাম খুলে দেখা যায়, ইলেক্টোরাল বন্ড। ‘অজানা’ ব্যক্তির হাতে আসা খামের সেই বন্ড এনক্যাশ করতে যদিও দেরি করেনি জেডিইউ।
অন্য দিকে, তামিলনাড়ুতে ক্ষমতাসীন ডিএমকে’র দাবি, ইলেক্টোরাল বন্ডে দানের তথ্য পেতে দাতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে তারা। সুপ্রিম-হস্তক্ষেপে কিছু অংশে তথ্য প্রকাশের পরে অবশ্য ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, ডিএমকে’র প্রাপ্তির ৭৭ শতাংশই এসেছে লটারি কিং সান্তিয়াগো মার্টিনের ফিউচার গেমিং কোম্পানি থেকে। স্ট্যালিনের দলের বক্তব্য, ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিমটাই এমন যে দাতার তথ্য প্রাপ্রককে জানতেই হবে, এমনও নয়।