যাদবপুরকে ‘সৃজনশীল’ করার ডাক, তরুণ নেতার প্রচারে কেন্দ্রের প্রাক্তনী সুজন
এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৪
২০০৪ সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তথাকথিত ‘এলিট’ কেন্দ্র হাতিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। গত তিনবার পরপর এই কেন্দ্র থেকে জিতে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী। এবার আর তারকা প্রার্থীর উপর ভরসা না করে যাদবপুর ‘সৃজনশীল’ হোক, প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়ে এমনটাই বার্তা দিলেন এই কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী।যাদবপুর কেন্দ্রে এবার প্রার্থী বদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিদায়ী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী নিজে দাঁড়াতে অনিচ্ছুক হওয়ায় যুব সংগঠনের নেত্রী সায়নী ঘোষকে বেছে নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা সৃজন ভট্টাচার্যকে লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়েছে বামেরা। মঙ্গলবার তাঁর হয়ে প্রচারে উপস্থিত ছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী।
যাদবপুর কেন্দ্র একনজরে –
১৯৮৪ সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতেই সাংসদ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৪ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। ২০০৯ সালে ফের কেন্দ্রটিকে পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল। জেতেন তারকা প্রার্থী কবীর সুমন।২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পরপর দুইবার এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করে। সুগত বসু এবং মিমি চক্রবর্তী এই কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন।এই কেন্দ্রে গতবার প্রায় ৩ লাখের বেশি ব্যবধানে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। ভোটের শতকরা হারে অনেকটাই এগিয়ে ছিল তৃণমূল।বারুইপুর পূর্ব-পশ্চিম, সোনারপুর উত্তর - দক্ষিণ, ভাঙড়, টালিগঞ্জ, যাদবপুর এলাকা নিয়ে এই কেন্দ্র গঠিত।ভাঙড় বাদ দিয়ে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের অধীনে।Sujan Chakraborty : 'এতো লুট! গোটা দেশে আমাদের মান-সম্মান শেষ হয়ে গেল', মন্তব্য় সুজনের
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের হয়ে প্রচারে নামলেন যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী। তিনি নিজেও এবার দমদম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। সৃজন ভট্টাচার্য এদিন কালিবাজার এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন। এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে দেখা যায় তাঁকে। নিজে পাঁচ বছর এই কেন্দ্রের সাংসদ থাকায় এলাকার অলিগলি অনেকটাই চেনা সুজনের। নতুন প্রার্থীকে তাই পথ দেখালেন তিনিই।
সুজন বলেন, ‘যাদবপুরকে সৃজনশীল গড়ে তুলতে হবে তাই সৃজনকে জেতাতেই হবে।’ তাঁর কথায়, কবীর সুমন, সুগত বসু ও মিমি চক্রবর্তীর মতো প্রার্থীদের উপর যাদবপুরের মানুষ আর ভরসা করতে পারছেন না। মানুষের প্রয়োজনে পাশে থাকবে এইরকম প্রার্থীর প্রয়োজন। তাই মানুষ বামেদের উপর ভরসা রাখছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী সৃজন। যাদবপুর এবার বামেরা পুনরুদ্ধার করবে বলে তিনি আশাবাদী। মহিলাদের প্রকৃত উন্নয়ন করতে হবে বলে তাঁর বক্তব্য। দেশ ও রাজ্যে একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মহিলাদের ভোট হিসেবে না দেখে মানুষ হিসেবে দেখা উচিত বলের তাঁর মন্তব্য।