জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ওহ গুরু হো যা শুরু','ঠোকো তাল'! এই শব্দবন্ধগুলো কানে এলেই একটাই মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তিনি 'ওয়ান অ্যান্ড অনলি' নভজোত সিং সিন্ধু (Navjot Singh Sidhu)। আকাশ চোপড়া, বিবেক রাজদানের আগে হিন্দিতে ক্রীড়া ধারাভাষ্য়ে অবলীলায় সেঞ্চুরি হাঁকাতেন সিধু। দীর্ঘ বিরতির পর দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার ফিরছেন কমেন্ট্রি বক্সে। সপ্তদশ আইপিএলের (IPL 2024) হাত ধরে ধারাভাষ্য়ে কামব্য়াক করছেন সিধু।আবার দুরন্ত ওয়ান-লাইনার, শায়েরি ও হাস্য়রসে ভাসবেন আইপিএল ফ্য়ানরা। সিধুর ধারাভাষ্যের এগুলোই মূল উপাদান। আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্য়ানেল স্টার, তাদের এক্স হ্য়ান্ডেলে কথার খেলোয়াড়ের আগমনী বার্তা দিয়ে দিল। নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেটের আইকনিক কণ্ঠস্বরগুলির মধ্য়ে একটি সিধুর। আন্তর্জাতিক ম্যাচে কমেন্ট্রির পাশাপাশি, সিধু আইপিএলে বেশ কয়েকটি সম্প্রচারকের জন্যও কাজ করেছেন। ধারাভাষ্য থেকে সিধু যখন দূরে ছিলেন তখন তিনি জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো 'দ্য কপিল শর্মা শো'-এর বিশেষ অতিথি ছিলেন। ২০১৯ সালে এই শো থেকে সিধুকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিতর্কের জন্য।২০০১ সালে শুরু হয়েছিল সিধুর নতুন ইনিংস। ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরের সময় সিধুর মাইক্রোফোন হাতে কেরিয়ার শুরু। তার স্বতন্ত্র এবং প্রাণবন্ত শৈলীর সকলের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিল। সিধু তাঁর ওয়ান-লাইনারের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠেন দ্রুত। সিধু হাস্যরসের সঙ্গে ক্রিকেটীয় অন্তর্দৃষ্টির অনন্য ককটেল পান করিয়েছেন বছরের পর বছর। ভারতের অন্যতম স্টাইলিশ ক্রিকেটার ছিলেন সিধু। তাঁর কেরিয়ার ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত। ১৫ বছর বাইশ গজে কাটিয়ে। ৫১টি টেস্ট (৩২০২ রান) এবং ১৩৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্য়াচ (৪৪১৩) খেলেছেন। সিধুর নামের সঙ্গে ১৫টি সেঞ্চুরি এবং ৪৮টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। সিধুর কমবক্সে ফেরার খবর ফ্য়ানদের কাছে আলাদাই আনন্দের।