CAA বাস্তবায়নে স্থগিতাদেশ নয়! সরকারকে তিন সপ্তাহ সময় শীর্ষ আদালতের
২৪ ঘন্টা | ১৯ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA বাস্তবায়নে স্থগিতাদেশ দেয়নি। আদালত সরকারকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে। ৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই সময় দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের কয়েক দিন আগে গত সপ্তাহে সামনে আসা আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ২৩৭টি পিটিশনের শুনানি ছিল আজ।পাশাপাশি, আবেদনকারীদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল যদি সেই তারিখের আগে কোনও ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয় তাহলে তাঁরা অ্যাপিল করতে পারে। সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল এবং ইন্দিরা জয়সিং উভয়েই সেই অনুরোধ করেছিলেন। সলিসিটর-জেনারেল তুষার মেহতা (সরকারের পক্ষে উপস্থিত) বলেছিলেন, ‘আমি কোনও বিবৃতি দিচ্ছি না’।
সুপ্রিম কোর্টে সিএএ নিয়ে শুনানি হয়েছে মঙ্গলবার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন আদালতে সিএএ-র বিরুদ্ধে মোট ২৩৭টি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ২০টি আবেদন জমা পড়েছে বিধি চালু হওয়ার পর।তিনি আরও বলেন, এই আইনের মাধ্যমে সরকার কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিতে চায় না। বরং নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এই আইন আনা হয়েছে। এসজি আরও বলেন, বিধি লাগু হওয়ার পর মামলায় যে আবেদনগুলো জমা পড়েছে, তার জবাব দেওয়ার জন্য সরকারকে সময় দেওয়া হোক।প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন এই ক্ষেত্রে আদালত নতুন করে নোটিস ইস্যু করবে। জবাব দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া উচিত।আবেদনকারীদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন সরকার কিছুদিন অপেক্ষা করুক। আবেদনকারীদের আইনজীবী কপিল সিব্বাল বলেন আইন চালু হওয়ার সাড়ে চার বছর পর বিধি লাগু করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশের জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করা উচিত। একবার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে গেলে আর আদালতের শুনানির কোনও মূল্য থাকবে না।এসজি আবারও আবেদন করেন যাতে জবাব দেওয়ার জন্য ৪ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়।এরপরেই জবাব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে পরবর্তী শুনানি ৯ এপ্রিল। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন এরমধ্যে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলে যেকোনও আবেদনকারী আদালতের নজরে আনতে পারেন।সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯ (CAA) এর সঙ্গে যুক্ত ২০০ টিরও বেশি পিটিশনের একটি ব্যাচের শুনানি করেছে। আবেদনগুলি সিএএ এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিধি ২০২৪ বাস্তবায়নে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল।ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ আবেদনগুলি শুনেছে।গত সপ্তাহে, সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বাল সুপ্রিম কোর্টের সামনে কেরালার ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল)-এর দায়ের করা একটি আবেদনের উল্লেখ করে বলেছেন যে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে বলে বিতর্কিত আইনটি বাস্তবায়নের কেন্দ্রের পদক্ষেপ প্রশ্নবিদ্ধ।আইইউএমএল ছাড়াও, অন্যান্য আবেদনকারীদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মহুয়া মৈত্র রয়েছে। এছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ, এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, অসম কংগ্রেস নেতা দেবব্রত সাইকিয়া, এনজিও রিহাই মঞ্চ এবং সিটিজেনস অ্যাগেইনস্ট হেট, অসম অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশন এবং কিছু আইন ছাত্র।আইইউএমএল, দেবব্রত সাইকিয়া, অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ (একটি আঞ্চলিক ছাত্র সংগঠন), ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডিওয়াইএফআই) এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (এসডিপিআই) সিএএ বিধি, ২০২৪ কে চ্যালেঞ্জ করেছে।