রাজীবের বদলে বিবেক, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এবার রাজ্যের নতুন ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
২৪ ঘন্টা | ১৯ মার্চ ২০২৪
সুতপা সেন: গতকালই ডিজিপি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিয়ে বিবেক সহায়কে ডিজিপির পদে বসিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। আর সেই নিয়োগের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের ডিজিপি বদল। মঙ্গলবার ডিজিপি পদে নিয়োগ করা হল ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। গতকাল বিকেল ৫টার মধ্যে সম্ভাব্য ৩ যোগ্য অফিসারের নাম কমিশনে পাঠাতে বলা হয়। রাজ্যের তরফে ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার বিবেক সহায়, ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এবং ১৯৯০ ব্যাচের আইপিএস অফিসার দেবাশিষ রায়ের নাম পাঠানো হয় বলে খবর। তার মধ্যে বিবেক সহায়কে রাজ্যের পরবর্তী ডিজি হিসেবে বেছে নিয়েছিল কমিশন। কিন্তু একদিনের মধ্যেই নতুন ডিজি পেল রাজ্য।
উল্লেখ্য, গতকাল ডিজিপি হিসেবে বিবেক সহায়ের নাম ঘোষণার পরই চর্চা শুরু হয় তাঁর নিয়োগ নিয়ে। কারণ বিবেক সহায় অবসর নেবেন এবছর ৩১ মে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হবে ৪ জুন। ফলে প্রশ্ন উঠছিল বিবেক সহায়ের কাজের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা। কিন্তু আজ বিবেক সহায়কে সরিয়ে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে ডিজি পদে নিয়োগ করা হল। তিনি থাকবেন নির্বাতন প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত। রাজ্যের ডিজি বদল নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন বিজেপির হিজ মাস্টার ভয়েসে পরিণত হয়েছে। এই কমিশনকে রেখে কোনও ভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সেই জন্যই আণরা সুপ্রিম কোর্চের নজরদারিতে নির্বাচন চেয়েছি। তিন বছর না হওয়া সত্বেও রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর বিবেক সহায়কে ডিজি করা হল। তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হল। ডিজি করা হল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। পুরোটাই বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে করা হচ্ছে।উল্লেখ্য়, এক সময় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন বিবেক সহায়। এর আগেই নির্বাচনের সময়ে বিবেক সহায়কে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এমনটা হতেও পারে বিবেককে নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি রয়েছে। সেই আপত্তিতে মান্যতা দিতেই সরানো হল বিবেককে। তবে নির্বাতন কমিশনের তরফে এর কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।ডিজি বদল নিয়ে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট করার জন্য যা করার প্রয়োজন তা করুক নির্বাচন কমিশন। ডিজিপির নামে আমাদের কিছু এসে যায় না। তিনি যেন সুষ্ঠুভাবে যেন নির্বাতনচা করান।