মর্মান্তিক ঘটনায় তোলপাড় উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের মুঠিগঞ্জ এলাকা। সোমবর রাতে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে ফোন যায়। ফোনে খবর পান এক মহিলা আত্মহত্যা করেছে। পুলিস পৌঁছনোর আগেই মেয়ের আত্মহত্যার খবর শুনে তড়িঘড়ি মুঠগঞ্জ পৌঁছন বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় তুমুল ঝামেলা। অভিযোগ, মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে না পেরে বচসা চলকালীনই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন বাপের বাড়ির লোকেরা। আগুনে ঝলসে যান হয় মৃতার শ্বশুর এবং শাশুড়ির। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য মেয়ের ওপর অত্যাচার চালাো তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেই অত্যচর সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তাদের মেয়ে।প্রয়াগরাজ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীপক ভুকার জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১১ নাগাদ তাদের কাছে একটি ফোন যায়। ফোনেই তারা খবর পান এক মহিলা আত্মহ্ত্যা করেছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তিনটি দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে পৌছানোর পর পলিসের সামনেই দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। সেইসময় আচমকাই কয়েকজন আগুন ধরিয়ে দেয় মৃতার শ্বশুরবাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। বেশ কয়েক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভার পর বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ঝলসে যাওয়া দুটি দেহ। পুড়ে যাওয়া বাড়ির ভেতর থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পাঁচ জনকে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফার করে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।
সূত্রের খবর, মাত্র একবছর আগেই প্রয়াগরাজের মুঠিগঞ্জে বিয়ে হয়েছিল আংশিকা কেশরওয়ানির। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তার ওপর চলছিল শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার। আর সেটা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। তবে পণের জন্য আত্মহত্যা বা খুনের ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০২৩ শের ডিসেম্বরে, কেরলে হবু স্বামীর পণের টাকা মেটাতে না আত্মঘাতী হন এক চিকিত্সক। মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময়ই প্রেম। তারপর বিয়ে ঠিক হতেই বিশাল পরিমাণ পণের দাবি জানায় হবু স্বামীর পরিবার। ছিল বিশাল পরিমাণ সোনা, জমি এবং বিএমডবলু গাড়ির ডিমান্ড। তবে তরুনীর পরিবার ৫০ লক্ষ টাকা, ৫০ টি সোনার বন্ড এবং একটি গাড়ি দিতে চায়। তবে তা নিতে অস্বীকার করে ছেলের পরিবার। সেই অপমান সহ্য করতে ন পেরে আত্মহত্যা করেন তরুনী।