• Mathura Banke Bihari Mandir : বৃন্দাবনে হোলি উৎসবের জনজোয়ারে পদপিষ্ট! মৃত পুণ্যার্থী
    এই সময় | ১৯ মার্চ ২০২৪
  • সামনেই হোলি। রঙের উৎসব পালনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে গোটা দেশ। মথুরায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই উৎসব পালন। তবে সেখানকার বাঁকে বিহারী মন্দিরে উৎসবের মাঝেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।বাঁকে বিহারী মন্দিরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনামঙ্গলবার বাঁকে বিহারী মন্দিরে হোলি পালনে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। উপচে পড়ে ভিড়। এর জেরে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বেশ কয়েকজন মহিলা এবং শিশু পদপিষ্ট হয়ে যান বলে খবর। অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ভিড়ের চাপে। যার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুনীল মাঙ্গো। ভিড়ের মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি মুম্বই থেকে বৃন্দাবনে বন্ধুদের সঙ্গে তীর্থযাত্রায় গিয়েছিলেন। পর্যাপ্ত মেডিক্যাল ফেসিলিটি না থাকার জন্য পরিবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছে প্রশাসনের উপর।

    বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরের এই দুর্ঘটনার পর আরও সতর্ক পুলিশ প্রশাসক। এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ও নজরদারি। এর আগেও হোলি কিংবা অন্য উৎসবের সময় মথুরায় বাঁকে বিহারী মন্দির ভিড় উপচে পড়ার জেরে ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    মথুরায় বাঁকে বিহারী মন্দির, রাধারমণ মন্দির, প্রেম মন্দির সহ আরও নানা দেবালয়ে হোলির উৎসব পালিত হচ্ছে। অসংখ্য ভক্তের ঢল নামছে মন্দিরগুলিতে। রঙের উৎসব পালনে একজোট হচ্ছেন সকলে।

    মথুরা, বৃন্দাবনের পাশাপাশি বরসানার লাঠমার হোলি, বজ্রে রং উৎসবে অংশ নিতেও দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে অগণিত পুণ্যার্থী। কেবলমাত্র উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশ থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। আগামী কয়েকদিনে এই ভিড় আরও উপচে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। মথুরায় হোটেল, গেস্ট হাউস, ধর্মশালায় পা রাখার মতো অবস্থা নেই। হোলি উৎসবে ভগবানের দর্শন পেতে মথুরায় আসা পুণ্যার্থীরা যে যেখানে পারছেন আশ্রয় নিচ্ছেন। হোটেল রুমের ভাড়াও সুযোগ বুঝে আকাশ ছুঁয়েছে।

    লাঠমার হোলি কী?উত্তর প্রদেশের মথুরার বারসানায় লাঠমার হোলি প্রতিবছরই ধুমধাম করে পালিত হয়। বারসানার প্রধান শিরজি মন্দিরে খেলা হয় লাঠমার হোলি। আর লাঠমার হোলির ঠিক একদিন আগেই পালিত হয় লাড্ডু হোলি। মন্দিরের মূল অধিষ্ঠাতা দেবতা শ্রীকৃষ্ণকে হোলি খেলার জন্য আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়। ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে পালিত হয় লাড্ডু হোলি। সারা বিশ্ব থেকে মথুরা-বৃন্দাবনের হোলি চাক্ষুস করতে সেখানে এই সময় পৌঁছে যান বহু মানুষ।
  • Link to this news (এই সময়)