২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই দেশে জারি করা হয় সিএএ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অসমে কীভাবে কার্যকর হবে এবার তাই নিয়ে মুখ খুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা । তিন থেকে পাঁচ লক্ষ মানুষ সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাবেন বলে দাবি হিমন্ত বিশ্ব শর্মা র। শুধু তাই নয়, আবেদন করলেও শুধুমাত্র তাদেরই নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাদের নাম আপডেট করা এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে, জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তবে ইতিমধ্যেই সত লক্ষ মুসলিম এবং পাঁচ লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সিএএ জারি হতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কোথাও কোথাও আবার বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন জনসাধারণ। সিএএ কার্যকর হওয়ার পর নিয়মের জালে জর্জরিত হয়ে হতাশ হয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে রাস্তায় নেমে আন্দোলন দেখান সাধারণ মানুষ।সিএএ কী?২০১৯ এর ৩১ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এনআরসি প্রকাশিত হয়। সেই সময় প্রায় সাড়ে তিনকোটি আবেদনকারীর মধ্যে বাদ দেওয়া হয়েছিল ১৯ লক্ষ নাম। সিএএ সংশোধন নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ সালের হিন্দু, শিখ, পার্সি, জৈন এবং খ্রীস্টান ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্বের অনুমতি দেওয়া হয়। যারা ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলি থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের ভয়ে পালিয়ে এসেছিলেন।
কেন সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ?সিএএ সংশোধনীর বিরুদ্ধে সারা দেশেই শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভে। চলতি বছরের মার্চে সিএএ জারি হতেই অসম এবং অন্যান্য উত্র-পূর্ব রাজ্যের বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। সিএএ-র ফলে মানুষ তাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ভূমি অধিকার হারাতে পারে, এই আশঙ্কাতেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মানুষ। নাগরিকত্ব আইনের নতুন সংশোধনী মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য এবং দেশের সংবিধনে অন্তর্ভুক্ত সমতার অধিকারকে লঙ্ঘণ করে।
দেশজুড়ে কার্যকর করা হয়েছে নাগরিক্ব সংশোধনী আইন। গত ১১ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকেই এই আইন কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলার আবেদনও জমা পড়েছে। মঙ্গলবার প্রধন বিচরপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পরদিওয়াল এবং মনোজ মিশ্রার এজলাসে সিএএ-এর ওপর স্থগিতাদেশের আবেদনের শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।