রাম নবমীতে অশান্তির ঘটনায় আরও ১১ জনকে গ্রেফতার করল NIA। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে রাজ্যে রাম নবমী উদযাপনের সময় ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনায় আরও 11 জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হল। কিছুদিন আগেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।NIA সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ১১ জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে, তারা হল শামীম আহমেদ, বলওয়ান্ত সিং, মেহমুদ আলম, মেহফুজ আলম ওরফে সোনু, শামশাদ আলম ওরফে দানিশ, মহাম্মদ আলি ওরফে সুরাজ, সেলিম জাভেদ ওরফে জাওয়াদ, সরফরাজ আলম ওরফে লালন, ফিরোজ খান, আনসারি ওরফে রাজ এবং শামশাদ হুসেন ওরফে শামশাদ আলী, এরা সবাই হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ রামনবমীর যে মিছিল হয়েছিল সেটিকে কেন্দ্র করে হাওড়া জেলার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা–সহ একাধিক জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। একশোর বেশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ NIA তদন্তের নির্দেশ দেয়। গত বছর ২৭ এপ্রিল এই ঘটনায় NIA তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশের ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই হিংসার ঘটনা নিয়ে সমস্ত নথি এনআইএ–কে হস্তান্তর করতে হবে বলে আদালত জানায়।
যদিও, কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার। তবে, লাভ হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া এনআইএ তদন্তের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। আর সেই আর্জি ২০২৩ সালের ১৯ মে খারিজ করে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এরপর থেকেই এই মামলায় তদন্ত চালিয়ে আসছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত চালানোর প্রায় এক বছর বাদে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই ঘটনায় প্রায় ১৬ জনকে গ্রেফতার খবর সামনে আসে। এর প্রায় এক মাসের মধ্যেই আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করার কথা জানাল NIA। এই ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে NIA। আগামী দিনে গ্রেফতারির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।