• Holi 2024: ঋষির অভিশাপে ৩০০ বছর ধরে হোলি পালিত হয় না এই গ্রামে! নেপথ্য় কাহিনি জানলে গায়ে কাঁটা দেবে
    এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৪
  • নীল, হলুদ, সবুজ থেকে শুরু করে নানা রঙে একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়ার পালা। তবে হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী দোল বা হোলি যতটা ধর্মীয় ততটাই সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উৎসব। এই উৎসব দোল ভাতৃত্ব ও প্রেমের। দেশের কোণায় কোণায় দোল উৎসবে মেতে ওঠে মানুষ। ৮ থেকে ৮০ সকলেরই এক কথায় দোল অন্যতম প্রিয় উৎসব। গোটা দেশে দোল উৎসব পালিত হয় উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে। তবে জানেন কি ভারতে এমন এক গ্রাম রয়েছে যেখানে ৩০০ বছর ধরে হোলি পালন হয় না? এই প্রতিবেদনে জানান ভারতের সেই গ্রামের কথা যেখানে হোলি পালন হয় না দীর্ঘ বছর ধরেই। রঙের উৎসবে মাতেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা। এর নেপথ্যে অবশ্য রয়েছে কারণ।হরিয়নার কাইথলের দুসেরপুর গ্রাম। এখানে বিগত ৩০০ বছর ধরে পালিত হয় না হোলি। এর পিছনে রয়েছে বছরের পর বছর চলে আসা বিশ্বাস। দীর্ঘ বছর ধরে বাসিন্দাদের বিশ্বাস, হোলিকা দহনের দিন এক ঋষি গ্রামবাসীদের অভিশাপ দিয়েছিলেন। তাঁর সেই অভিশাপের বোঝা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রামের মানুষ। সেই থেকে আর হোলি পালিত হয় না এই গ্রামে।

    দোলের আগে শান্তিপুরে গৃহবধূদের উপর্জনের পথ দেখাচ্ছে আবির

    হোলি না পালনের পিছনে কী কাহিনি শোনা যায়?

    গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের মতে, প্রায় ৩০০ বছর আগে হোলির দিন এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শোনা যায় প্রায় ৩০০ বছর আগে রঙের উৎসবে মেতে উঠে হোলি কা দহন বা ন্যাড়া পোড়ার আয়োজন করেছিলেন গ্রামবাসীরা। হোলির আগের দিনের রাতে কাঠ জোগার করে, গাছের ডাল বা খড় ইত্যাদি দিয়ে একটি চুড়ো তৈরি করে জ্বালানোর জন্য় প্রস্তুত করেছিলেন তাঁরা। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় গ্রামের একদল যুবক। এই দেখে গ্রামের এক সাধু তাদের বাধা দিতে গিয়েছিলেন। ওই মুহূর্তে যুবকদের হোলি কা দহনে নিষেধ করেন তিনি। তবে সাধুর কথায় পাত্তা দেয়নি যুবকের দল। বরং সাধুর উচ্চতা নিয়ে ঠাট্টা-তামাসা করেন। উচ্চতায় খাটো ছিলেন ওই সাধুর। সাধুর মানা সত্ত্বেও হোলি কা দহনে মেতে ওঠে যুবকরা। এতেই রেগে যান ওই সাধু। আগুনে ঝাঁপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে অভিশাপও দেন গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, সাধুর অভিশাপ এই গ্রামে যে হোলি পালন করবে তাকেই ফল ভোগ করতে হবে। ঘটনার পর থেকে আর হোলি পালিত হয় না গ্রামে। তবে মৃত্যুর সময় অবশ্য় অভিশাপ থেকে মুক্তির পথও বাতলে দিয়েছিলেন সাধু। বলেছিলেন, হোলির দিন যদি গ্রামের কোনও গাভী বাছুরের জন্ম দেয় বা কোনও বাড়িতে পুত্র সন্তানের জন্ম হয় তবেই একমাত্র অভিশাপ থেকে মুক্তির পথ মিলবে। তবে এমনটা হয়েছে কি না তা জানা নেই। কিন্তু আজও এই গ্রামে রঙের উৎসবের দিনটা বড্ড ম্যারম্যারে।
  • Link to this news (এই সময়)