• পরীক্ষার সময় ছাত্রীদের অশালীন মন্তব্য, অভিযুক্ত পরীক্ষক! শোরগোল রায়গঞ্জের বিএড কলেজে
    এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৪
  • কলেজের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার সময় ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ। অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠল এক পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলায় রায়গঞ্জে। গোটা ঘটনায় হইচই পড়ে যায় কলেজে। ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করেছেন কলেজ পড়ুয়ারা।কলেজে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও তাঁদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল বহিরাগত পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি বিএড কলেজে। এই ঘটনার পর থেকেই রীতিমতো আতঙ্কিত ছাত্রীরা। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

    জানা গিয়েছে, সোমবার রায়গঞ্জের রাড়িয়া বেসরকারি বিএড কলেজে চলছিল তৃতীয় সেমিস্টারের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। পরীক্ষায় এক্সটারনাল এক্সামিনার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পাঠানো হয় শুভজিৎ রায় নামে এক অধ্যাপককে। ছাত্রীরা জানান, এই শুভজিৎ রায় মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন তাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। তাঁদের অশালীন নানান কথাবার্তা বলেন। একেবারে ব্যক্তিগত নানান প্রশ্ন করতে শুরু করেন। এখানেই শেষ নয় ওই এক্সামিনার তাদের কুপ্রস্তাব পর্যন্ত দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

    ঘটনার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পরেন ছাত্রীরা। এদিন তাঁরা প্রাথমিক ভাবে সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানান। এরপর মঙ্গলবার একাধিক ছাত্রী পৃথক ভাবে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন সোমবারের ঘটনা প্রসঙ্গে। তাঁরা এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিভাবকরাও। তারাও মঙ্গলবার কলেজে এসে প্রতিবাদ জানান।

    অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এই ধরনের অধ্যাপকদের জন্য আগামীতে আরও ছাত্রীরা হেনস্থার শিকার হবেন। এই অধ্যাপকের পরীক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক্সামিনার শুভজিৎ রায় একপ্রকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাশাপাশি অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।

    বেসরকারি বিএড কলেজের অধ্যক্ষ হরি বিশ্বাস এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ছাত্রীদের তরফে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি মেইল মারফত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে তৎক্ষনাৎ শুভজিৎকে এক্সামিনারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাকে কলেজ থেকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইন মেনে পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ।
  • Link to this news (এই সময়)