নির্বাচনের মুখে মালদায় BJP-তে বড় ভাঙন, তৃণমূলে যোগ প্রাক্তন বিধায়কের
এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের আগে মালদা বিজেপিতে বড় ভাঙন। মালদা বিজেপির সহসভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। বঞ্চনার রাজনীতির বিরুদ্ধে চলা লড়াইয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করার শপথ নিলেন। লোকসভা নির্বাচনের মুখেই এই ভাঙনে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।মঙ্গলবার মালদা বিজেপির সহসভাপতি তথা গাজলের প্রাক্তন বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস মঙ্গলবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বাংলার বিরোধী ‘জমিদার’দের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আরও শক্ত করতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে জানান দীপালি দেবী। তাঁর সঙ্গে তাঁর অসংখ্য অনুগামীও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি ও জেলা মহিলা সভানেত্রী সাগরিকা সরকার। উল্লেখ্য, গাজোলের প্রাক্তন বিধায়ক দিপালী ২০১৬ সালের নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে জিতেছিলেন। এর পর তৃণমূলে যোগ দেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে চলে যান। এদিন আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন তিনি।
২০১৬ সালে বিধানসভার ভোটে গাজল থেকে সিপিএমের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময় মালদা জেলার তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হাত ধরেই সেই বছরের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। যদিও, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যাওয়ার পর তিনি বিজেপিতে যান।
গত ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তবে গত কয়েক বছর মালদা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর। ২০২১ সালে তাঁকে বিজেপি থেকে প্রার্থী করা হবে, এমনটাই আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁকে বিজেপি প্রার্থী না করায় দলের অন্দরে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তী কালে ২০২৩ সালে মালদায় গাজলে একটি সভায় উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভাতেও সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর। এরপর মঙ্গলবার তিনি ফিরে এলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।