• দৃষ্টিহীনদের সুবিধার্থে দর্শনীয় স্থানে ব্রেইল পদ্ধতিতে ইতিহাস লেখার দাবি ...
    আজকাল | ২০ মার্চ ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: ব্রেইল পদ্ধতিতে রাজ্যের দর্শনীয় স্থানের গায়ে লেখা হোক ইতিহাস। দেখতে না পারলেও ব্রেইল পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রষ্টব্যর ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হোন দৃষ্টিহীনরা। সম্প্রতি এই মর্মে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শ্রীরামপুর চক্ষু সেবা কেন্দ্র। চিঠি দেওয়া হয়েছে দর্শনীয় দ্রষ্টব্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। জানানো হয়েছে তাঁদের ভাবনার কথা। যাঁরা দেখতে পান, তাঁদের ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য স্থান দেখতে বা ইতিহাস পড়তে অসুবিধা হয় না। দৃষ্টিহীনরাও যাতে দর্শনীয় স্থানে গিয়ে দেখতে না পারলেও যাতে ইতিহাস পড়ে জানতে পারেন, তার জন্য ব্রেইল পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাল শ্রীরামপুর চক্ষু সেবা কেন্দ্র। মঙ্গলবার হুগলি ইমামবাড়া, ব্যান্ডেল চার্চে এই মর্মে চিঠি দিয়ে আবেদন জানান সেবা কেন্দ্রের সদস্যরা। এই প্রসঙ্গে সেবা কেন্দ্রের তরফে তারকনাথ ব্যানার্জি বলেছেন, কলকাতা তথা এ রাজ্যের দর্শনীয় ঐতিহাসিক জায়গাগুলো যেমন, চিড়িয়াখানা, কলকাতা মিউজিয়াম, বিড়লা মন্দির, ইমামবাড়া, ব্যান্ডেল চার্চ, দক্ষিনেশ্বর মন্দির, বেলুর মঠের মত নানা দর্শনীয় স্থানে ব্রেইলে লেখা থাকলে দৃষ্টিহীনদের পড়ে বুঝতে সুবিধা হয়। তারকনাথ আরও বলেছেন, শ্রীরামপুর চক্ষু সেবা কেন্দ্র গত ৩৮ বছর ধরে মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে কাজ করে চলেছে। এখনও পর্যন্ত সাত হাজার কর্নিয়া সংগ্রহ করে মেডিক্যাল কলেজে জমা দিয়েছে। যা দিয়ে অনেক মানুষ দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেয়েছেন।যাঁদের চোখে আলো নেই অথচ ব্রেইল এর মাধ্যমে পড়তে পারেন তাদের জন্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে গিয়ে অনুরোধ করছে চক্ষু সেবা কেন্দ্র। সেবা কেন্দ্রের অন্যতম সদস্য সিদাম সাহা বলেছেন, এদিন ইমামবাড়া ও ব্যান্ডেল চার্চে চিঠি দিয়ে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। দৃষ্টিহীনদের সুবিধার্থে তাঁদের তরফে নানা ভাবনা জারি রয়েছে।ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)