• ঠান্ডা পানীয়তে চুমুক দিতেই খোয়া গেল টাকা, মোবাইল ফোন
    আজকাল | ২০ মার্চ ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: অভিনব কায়দায় কেপমারির ঘটনা। একসঙ্গে তিন জনকে মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে কেপমারি চন্দননগর হাসপাতালে। পরে গিয়ে মাথা ফাটল একজনের। ভুক্তভোগী হরিপালের সেখ মহঃ ওলিউল্লা, শ্রীমন্ত সিং এবং ডানকুনির আউজুল মল্লিক। তিন জনেরই নিকট আত্মীয় ভর্তি রয়েছেন চন্দননগর হাসপাতালে। হাসপাতালের অ্যানেক্স বিল্ডিং এর সামনে আরও অনেকের সঙ্গে তাঁরা রাত জাগছিলেন। হঠাৎ এক মধ্য বয়সী ব্যক্তি এসে তাঁদের সঙ্গে ভাব জমায়। এরপর ফ্রুটি খেতে দেয়। তিনজনেই অল্প করে পানীয়তে চুমুক দেন। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন তিনজনই।সকালে ঘুম ভাঙলে দেখেন মোবাইল টাকা সবই গায়েব। মহঃ ওলিউল্লা উঠে শৌচালয়ে গিয়ে মাথা ঘুরে পরে যান, তাঁর মাথা ফেটে যায়। তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় হাসপাতালেই। মাদকের প্রভাব এতটাই যে প্রায় ১২ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও উঠে দাঁড়াতে পারছেন না তিনজনই। মহঃ ওলিউল্লা বলেছেন, তিনি রোজা করেছেন। গত রাতে একজন তাঁকে বলল একটু জুস খান। খাওয়ার পর আর হুঁশ ছিল না। সকালে উঠে মুখ ধুতে গিয়ে পড়ে যান তিনি। মাথা ফেটে যায়। হাসপাতালে অনেক ধরনের মানুষ আসেন। কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা দরকার। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, এর আগেও হাসপাতালে এধরনের একাধিক কেপমারির ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। অ্যানেক্স বিল্ডিং নতুন হওয়ায় সেখানে সিসি ক্যামেরা এখনও বসানো হয়নি। হাসপাতালে প্রবেশদ্বারেও সিসি ক্যামেরা নেই। নিরাপত্তারক্ষীও নেই। তাই রোগীর পরিজন যাঁরা রাতে থাকেন, তাঁদের বারবার বলা হয় অপরিচিত কারও থেকে কিছু না খেতে, তার পরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)