• বৃটিশ আমলের পুকুরের নীচে সোনার গয়নার পাহাড়! সোনার সন্ধানে পুকুর তোলপাড়...
    ২৪ ঘন্টা | ২০ মার্চ ২০২৪
  • পার্থ চৌধুরী: সোনা খুঁজতে পুকুরে নেমেছেন অনেকেই। যদিও এখনও সোনা মেলেনি। কিন্তু তবু হাতড়ে চলেছেন গ্রামের মানুষ। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার কামারপাড়ায় বৃটিশ আমলের পুকুরের জল শুকাতেই এলাকার মানুষজনদের সোনার গয়না খোঁজার হিড়িক। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে। কামারপাড়ায় রয়েছে বৃটিশ আমলের একটি পুকুর। যে পুকুরটি দেবোত্তর পুকুর হিসাবে এলাকায় পরিচিত। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১৮২৫ সালে পুকুরটিকে সংস্কার করার জন্য পুণরায় খনন করেন কামারপাড়ার জমিদার। এ যাবৎ পুকুরের জল কখনও শুকায়নি বলে দাবি এলাকাবাসীদের। এখানে কেউ মাছও ধরেন না। বেশ কয়েকবার ওই পুকুরের জল শুকানোর চেষ্টা করেছিল স্থানীয়রা। তবে সেই জল কখনো শুকাতে পারেননি তারা। টানা ১৬দিনের চেষ্টায় সেই পুকুরের জল শুকিয়েছে আজ। আর পুকুরের জল শুকাতেই এলাকার মানুষ অবাক হয়েছেন। তাদের ধারণা ছিল এই পুকুরের জল শুকায় না।

    পাশাপাশি, এলাকার মানুষজনদের সোনার গয়না খোঁজার হিড়িক পড়ে যায় পুকুর চত্বরে। সাধারণ মানুষের ধারণা, পুকুরটি ছিল দেবোত্তর।  বহু মানুষ এই পুকুরে মানত স্বরূপ সোনার গয়না ফেলতেন বলেও তাদের দাবি। আর তাই সোনার সন্ধানে পুকুর তোলপাড় করছেন অনেকেই। বর্তমানে এই পুকুরের মালিক জমিদার পরিবারের বংশধর অয়ন রায়। এখন পুকুরে আদৌ সোনা মেলে কি না,  সেটাই এখন দেখার।এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ কোনার এই পুকুরের জল শুকিয়েছেন। তাঁর মতে, এখানে দু একজন অল্প কিছু পেয়েছেন। তবে ক্রমশই ভিড় বাড়ছে। আরেক বাসিন্দা অভিজিৎ কোনার জানান, এখানে ভয়ে কেউ নামত না। মাছ ধরাও হত না। এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা ধীরেন রায় জানান,  এই পুকুরে লেয়ারের কারণে সবসময় জল থাকত। এখন লেয়ার নীচে নেমে গেছে। তাই জল আর বাড়বে না।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)